ডিএ দিতে কোষাগার ফাঁকা, ক্লাবগুলিকে ২৫৮ কোটি টাকা অনুদান! জনতা মহল সরগরম

ভাঁড়ার শূন্য। তবুও দুর্গা পুজোতে ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ বকেয়া ডিএ নিয়ে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার…

ডিএ দিতে কোষাগার ফাঁকা, ক্লাবগুলিকে ২৫৮ কোটি টাকা অনুদান! জনতা মহল সরগরম

ভাঁড়ার শূন্য। তবুও দুর্গা পুজোতে ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ বকেয়া ডিএ নিয়ে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি মামলা দায়ের করে অভিযোগ, ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সদর্থক ভূমিকা নেই। আবার কোষাগার থেকে এত টাকা খরচ৷ চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চনার কথা তুলে স্যোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। থেমে নেই বিরোধীরাও।

৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও মিলবে ছাড়। কলকাতা এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষৎকে অনুরোধ করা হয়েছে, পুজো কমিটিগুলির বিদ্যুৎ বিলে যেন ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। মোট অনুদানের পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ২৫৮ কোটিতে। সমগ্র হিসেব তুলে ধরে কড়া আক্রমণে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী৷

ট্যুইট করে তিনি বলেন, “শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা মেরামতির
পয়সা নেই। নিয়োগ বা ডিএ বাকি বছরের পর বছর। হাল তলানিতে।। অথচ ৪৩ হাজার পুজো x ৬০ হাজার টাকা = দুশো আটান্ন কোটি। + বিদ্যুৎ, দমকলে ছাড়। শ’পাঁচেক কোটি তো বটেই। সঙ্গে খুশী মত ছুটি!! পুজো প্যান্ডেলে আরএসএসের দেবী-দূর্গার বড় বড় ছবি রাখলেই কাফি! বাঃ!!”

শুধুমাত্র বাম কর্মচারী সংগঠন নয়, টাকা দেওয়ার বিষয়কে সমর্থন করলেও টিপ্পনী করতে ছাড়েনি তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠন। তাঁদের কথায়, যে সরকারি কর্মচারীদের জন্য রাজ্যের এত উন্নয়ন তাঁদের কথা সরকারের ভাবা দরকার।

Advertisements

সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে সমস্ত পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখান থেকে তিনি বলেন, আগের বার দিয়েছিলাম কত? আমার কাছে কিন্তু নেই, ভাঁড়ার শূন্য। মা দুর্গা ভাঁড়ার ভর্তি করে দেবেন, আমি আশা করি। তাই এবার আমরা আমাদের কষ্ট থাকা সত্ত্বেও ৫০ হাজার টাকাটা ৬০ হাজার টাকা করে দিলাম। খুশি তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের পরেই প্রশ্ন, এত টাকা আসবে কোথা থেকে? কোষাগার খালি বলে ডিএর বিষয় রাজ্য এড়িয়ে গেলে কেন ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে৷

প্রসঙ্গত, ২০ মে মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ১৯ অগাস্ট শেষ হয়েছে আদালতের দেওয়া তিন মাসের মেয়াদ। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কর্মীরা বকেয়া ডিএ না পাওয়ায় এবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হল কর্মী সংগঠন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করল ইউনিটি ফোরাম নামে এক সংগঠন।