পাঞ্জাবে রাহুলের সভায় অনুপস্থিত দলের ৫ সাংসদ

নতুন করে পাঞ্জাবে অস্বস্তিতে পড়ল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে পাঞ্জাবের অমৃতসরে প্রচারে আসেন দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু রাহুলের সভায় অনুপস্থিত রইলেন…

নতুন করে পাঞ্জাবে অস্বস্তিতে পড়ল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে পাঞ্জাবের অমৃতসরে প্রচারে আসেন দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু রাহুলের সভায় অনুপস্থিত রইলেন পাঞ্জাবের পাঁচ কংগ্রেস সাংসদ।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ওই পাঁচ কংগ্রেস সাংসদের অনুপস্থিতি রাহুলের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থার উদাহরণ। ইতিমধ্যেই অনুপস্থিত সাংসদদের নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
কারণ জসবীর সিং গিল নামে এক সাংসদ জানিয়েছেন আজকের সভায় দলের পক্ষ থেকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। জাসবীর ছাড়াও আরও যে চার সাংসদ এদিন রাহুলের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন মহম্মদ সাদিক, মণীশ তিওয়ারি, প্রিনিত কাউর এবং রবনীত সিং বিট্টু। এদের মধ্যে কাউর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী।

আরও পড়ুন: টিপু কে ছিলেন এবং কি করেছিলেন সেটা আমরা বিজেপির থেকে শিখব না, বললেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত 

নিজের অনুপস্থিতি সম্পর্কে জসবীর বলেন, অমৃতসরে রাহুলের ওই সভায় আসতে তাঁদের কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু তাঁদের ওই সভায় আসার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু বা মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি কেউই আমন্ত্রণ জানাননি। যদি তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হত তবে তাঁরা অবশ্যই রাহুলের সভায় আসতেন।
সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় মণীশ তিওয়ারির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দলে সংস্কারের প্রয়োজন এই কথা জানিয়ে কিছুদিন আগেই মণীশ সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। কিছুদিন আগেই মণীশ তাঁর লেখা একটি বইয়ে জানিয়েছেন, ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর তৎকালীন ইউপিএ সরকারের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এসবের কারণে মণীশের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের দূরত্ব ক্রমশই চওড়া হয়েছে। কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এই ফাঁকফোকর ভরাট করা তো দূরের কথা বরং আরও বেড়েই চলেছে কার্যত রাহুলের নেতৃত্বে এড়িয়ে চলেছেন কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতারা।