করোনা নির্মূল করা অসম্ভব, বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা থাকবে, WHO বলল- আশ্চর্যজনক ভাইরাস

181
Impossible to eliminate Corona, Global Emergency will remain, WHO said – Surprising virus
Advertisements

করোনা (Corona) সংক্রমণ নিয়ে বড় ও বিস্ময়কর দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO )। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাইরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানোস ঘেব্রেইসাস বলেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কোভিড -১৯-এর কারণে ১.৭০ লাখ লোক মারা গেছে। এসব ঘটনাই রিপোর্ট করা হয়েছে। এখন ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত পরিসংখ্যান এর থেকে অনেক বেশি হতে পারে। ডব্লিউএইচওর ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশন ইমার্জেন্সি কমিটি দাবি করেছে, মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নির্মূল করা প্রায় অসম্ভব।

স্বাস্থ্য কমিটি বলছে, করোনার মারাত্মক প্রভাব কমাতে আমরা যাতে সফলতা পেতে পারি সে চেষ্টা করা হবে। সংক্রমণের কারণে মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন, কিন্তু করোনা শেষ হবে না। এটি একটি বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থার মতো থাকবে।

Advertisements

করোনা সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে
ডব্লিউএইচওর ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশন ইমার্জেন্সি কমিটি বলছে, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। করোনার কারণে মারাত্মক রোগের প্রতি মনোযোগ কমে গেছে। অনেক জায়গায় কোভিডকে এখনও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। করোনা সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে। এ কারণে সারা বিশ্বে চিকিৎসকের অভাবও দেখা যাচ্ছে।

Advertisements

সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোস ঘেব্রেইসাস বলেছেন, করোনা ভাইরাসকে অবমূল্যায়ন করার ভুল করা উচিত নয়। এই ভাইরাল প্রতিনিয়ত আমাদের চমক দিচ্ছে। সে আমাদের মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। এজন্য আমাদের এখন আরও চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কর্মীদের প্রয়োজন। এই ভাইরাস আমাদের মধ্যে বসতি স্থাপন করেছে। এখন অনেক প্রজন্মের জন্য এটি শেষ হবে না। যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য সঠিক ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে এবং বেশি বেশি মানুষকে টিকা দিতে হবে।

ভারতের অবস্থা কী?
৩০ জানুয়ারী ২০২০ এ ভারতে প্রথম করোনা কেস সনাক্ত করা হয়েছিল। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কোটি করোনা রোগী সামনে এসেছে। তবে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তিন বছরে দেশে করোনার তিনটি ঢেউ ছিল।

Advertisements