Recruitment corruption: পর্ষদের গোপন বিভাগে মানিকের কার্যকলাপ ফাঁস করলেন রত্না

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment corruption) মামলায় এই মুহুর্তে জেলে রয়েছেন পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)

Manik Bhattacharya

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment corruption) মামলায় এই মুহুর্তে জেলে রয়েছেন পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। মানিকের দুর্নীতির কারনামা এবার ফাঁস করলেন পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না ভট্টাচার্য (Ratna Bhattacharya)। তিনি জানিয়েছেন, পর্ষদের গোপন ভবনে বসেই উত্তরপত্রে কারচুপি চলত। সেখানে একমাত্র যাতায়ত ছিল প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের।

২০১৪ এবং ২০১৬ সালের অতিরিক্ত প্যানেল নিয়ে এদিন পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্নাকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শূন্যপদ থাকার পরেও কেন প্যানেল তৈরি করা হয়নি? বিচারপতির এই প্রশ্নে রত্না বলেন, এবিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। কনফিডেনশিয়াল রুম, যেখানে উত্তরপত্র তৈরি হত, সেখানে একমাত্র যাতায়ত ছিল মানিকেরই। ২০১২ সাল থেকে এস বসু রায়চৌধুরীকে উত্তপত্র তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গোপন বিভাগ থেকে যে আটটি প্যানেল দেওয়া হয়েছিল, সেটার কোনটাই অতিরিক্ত পদের জন্য নয়। এমনটাই জানিয়েছেন রত্না।

   

মানিকের এই কারনামা শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিকের সঙ্গে ওই সংস্থার কীসের এত প্রেম? সিবিআই কেন এখনও এসব জানতে পারছে না? প্রশ্ন তোলেন তিনি। মানিকের দুর্নীতির প্যান্ডোরা বক্স খোলার ক্ষেত্রে আগামী দিনে রত্নাই ট্রাম্প কার্ড হতে পারে। এমনটা ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

কিন্তু সরকারি আধিকারিকের নাকের ডগায় যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তার দায় শুধুমাত্র মানিকের কাঁধে ঠেলে।দিতে পারেন রত্না? প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে। কারণে, মানিকের আমলেই পর্ষদের সচিব ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে বেসরকারি সংস্থা কীভাবে কনফিডেনশিয়াল শাখার অঙ্গ হতে পারে? হাইকোর্টের এই প্রশ্ন নিয়েও সন্দেহ বাড়ছে ক্রমাগত।