Ukraine War: রাশিয়ার মাটিতেই ইউক্রেনের সমর্থনে উঠল আওয়াজ, গ্রেফতার শতাধিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা শুরু হল দেশের মধ্যেই। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। তার জেরে রাশিয়ার পুলিশ প্রায় ১ হাজার…

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা শুরু হল দেশের মধ্যেই। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। তার জেরে রাশিয়ার পুলিশ প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে আটক করেছে।

দেশের ৫১টি শহরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এখান থেকে ১ হাজার ৩৯১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদ করছিলেন৷ মস্কোতে ৭০০ জনের বেশি এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রায় ৩৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা অনেকেই আগে পুতিনের প্রতিবাদ করে জেলে গিয়েছেন বা তাঁদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। জেলে বন্দি বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি, পুতিনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিক্ষোভকে একত্রিত করেছিলেন। মস্কোর বাইরে একটি পেনাল কলোনীতে তিনি আড়াই বছরের সাজা ভোগ করছেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর বেশ কয়েকজন রুশ কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় জনগণকে রাস্তায় নামতে আহ্বান জানান। বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী লেভ পোনোমাভিভ একটি পিটিশন আনেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাতে দেড় লক্ষেরও বেশি সই জমা পড়ে। দিনের শেষে তা দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৮৯ হাজারটি। আড়াইশোরও বেশি সাংবাদিক ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে একটি খোলা চিঠি পেশ করেছেন। অন্য একটিতে প্রায় আড়াইশো জন বিজ্ঞানী সই করেছেন। যখন মস্কো এবং অন্যান্য শহরের ১৯৪জন পৌরসভার সদস্যরা অন্য একটি পিটিশনে সই করেছেন।

মস্কোতে পুশকিন স্কোয়ারের চারপাশে যুদ্ধ বিরোধী স্লোগান চলছে।মস্কোতে ২৩ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া নেস্টুল্যা বলেছেন, “ব্যাপারটাতে আমি হতবাক। আমার আত্মীয়স্বজন এবং প্রিয়জনরা ইউক্রেনে থাকেন। আমি তাদের ফোনে কী বলব?” সেন্ট পিটার্সবার্গে ২৭ বছর বয়সী স্বেতলানা ভলকোভা বলেছেন, “আমার মনে হয় কর্তৃপক্ষ পাগল হয়ে গেছে।” তিনজন পুলিশ অফিসার যখন তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল তখন একজন যুবক চিৎকার করে বলে ওঠে: “পুতিনকে গ্রেফতার করুন।”