Pakistan: কুর্সি ছাড়লেন ইমরান খান, পাকিস্তানে এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী

সংসদ ভেঙে গেছে। নব্বই দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন। পাকিস্তান (Pakistan) নির্বাচন কমিশনে চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। আর সরকার চলতে শুরু করল তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। প্রাক্তন প্রধান…

সংসদ ভেঙে গেছে। নব্বই দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন। পাকিস্তান (Pakistan) নির্বাচন কমিশনে চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। আর সরকার চলতে শুরু করল তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন।

তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান বেছে নিয়েছেন গুলজারকে।দেশের তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নাম ঠিক করতে সোমবার বৈঠকে বসে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলের কোর কমিটির সেই বৈঠকেই তদারকি প্রধানমন্ত্রী পদে গুলজারের নাম সুপারিশ করেন ইমরান খান। সর্বসম্মতিক্রমেই গুলজারের নাম চূড়ান্ত হয়।

   

পাকিস্তানের প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী তথা পিটিআইয়ের প্রবীণ নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী ট্যুইট করে দলের তরফে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করার বিষয়টি জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন গুলজার আহমেদ। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ২৭ তম প্রধান বিচারপতি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি করাচিতে জন্ম গুলজার আহমেদের।

তবে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর নাম নির্বাচনের বিষয়টিকে অবৈধ বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ। শাহবাজ বলেছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট আলভি এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান দুজনেই আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করছেন।শাহবাজের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফাওয়াদ বলেছেন, পাকিস্তান নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু শাহবাজ বলছেন যে, তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ নেবেন না। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।

প্রেসিডেন্ট আলভি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ইমরানের পরামর্শে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। তিন মাসের মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে প্রেসিডেন্ট আলভির সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে বিরোধীরা। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি হলেও শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় এই আবেদনের শুনানি হবে। শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি মুনিব আখতার বলেছেন, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের মতো কোনও সিদ্ধান্তকে নাকচ করতেই পারেন।

আন্তর্জাতিক মহলও পাক সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানির দিকে তাকিয়ে আছে। এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেছেন, সরকার ভেঙে দিয়ে তাঁরা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছেন। সেটা জানার পরেও কেন বিরোধীরা আদালতে দৌড়াদৌড়ি করছে সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। অথচ বিগত তিন বছর ধরেই বিরোধীরাই আগাম নির্বাচনের দাবি করে আসছিল।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, পাকিস্তানকে অযাচিতভাবে অকাল নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন ইমরান খান। এটা ঠিক না। ইমরানের নিজের ইগোর থেকে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ ও উন্নয়ন অনেক বেশি জরুরি।