প্রতিটি মানুষের জীবন যেমন আলাদা ঠিক একই ভাবে আলাদা তাদের খাওয়ার ধরনের। অনেকে মিষ্টি পছন্দ করেন আবার অনেকে টক আবার অনেকেই আছেন যারা এই দুইয়ের মিশ্রণ অর্থাৎ টকঝাল দুইই পছন্দ করেন।
তবে বাঙালি মানেই কিন্তু মিষ্টি প্রিয়। আর গরম রসগোল্লা পেলে তো কথায় নেই। একসাথে বেশ কয়েকটা গরম রসগোল্লা কিংবা জিলিপি আরাম করে খেয়ে নেওয়ায় যায়। আর ভাতের পাতে অবশ্য মিষ্টি দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিনের বাড়ির খাওয়ার হোক কিংবা অনুষ্ঠান বাড়ি শেষ পাতে মিষ্টি না পেলে ঠিক জমে না। কিন্তু তার বদলে যদি পাতে এসে পড়ে টক দই (yogurt)!
তাতেই সব রসবোধের শেষ। কিন্তু ভুল করছেন না তো? অনেকেই হয়তো টক দইয়ের নাম শুনে শিউরে উঠবেন তাও আবার চিনি ছাড়া। কিন্তু জানেন কি এই খাওয়ার আপনার শরীরের অনেক সমস্যা কমিয়ে আনতে পারে। হ্যাঁ, ঠিক এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ টক দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড, যা ফ্যাট কাটার হিসাবে কাজ করে।
অন্যদিকে টক দইয়ের সাথে যদি শশা আর সামান্য পরিমাণে বিট লবণ মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তো কথায় নেই। এই গরমে পেট ঠান্ডা রাখতেও সক্ষম টক দই। আবার দইয়ের ঘোল খাওয়ার সময় তাতে ব্যবহার করুন টক দই, যদিও সামান্য পরিমাণে চিনি দেওয়া যেতে পারে। পাশপাশি সুগার এবং থাইরয়েডের রুগীদের ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে টক দই।