Coal Scam: কেষ্টর মতো মাটিতে শুতে হবে, অভিষেক-মমতাকে একযোগে আক্রমণে দিলীপ

কয়লা পাচার (Coal Scam) মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডি৷ শুক্রবার ইডি (ED) দফতর থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলকে তুলোধনা করেন অভিষেক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী…

কয়লা পাচার (Coal Scam) মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডি৷ শুক্রবার ইডি (ED) দফতর থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলকে তুলোধনা করেন অভিষেক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু বলেন৷ এবার পাল্টা সুর চড়ালেন (Dilip Ghosh) দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, পিসি ভাইপোর কথাবার্তার ঠিক নেই৷

বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে আমাদের নাম নিয়ে বলছেন। যেভাবে উনি বলছেন, মনে হয় ওদের ভয়টা বেড়েছে৷ যে কনফিডেন্স নিয়ে বলছেন, এখন গালাগালির পর্যায়ে চলে গেছে৷ তার মানে ওনারা ভবিতব্য বুঝতে পারছেন৷ আগামী দিন হয়তো কেষ্টর মতো মাটিতে শুতে হবে৷ দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ঘিরে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।

হালিশহরের পুর চেয়ারম্যান রাজু সাহানীর ঘর থেকে বিপুল কালো টাকা উদ্ধার ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সবে তো শুরু হয়েছে। আরও অনেকে ঢুকবে। এতগুলো তদন্ত চলছে। সরকারি সব দফতরে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার মানুষ চাইছেন, এ সব দ্রুত শেষ হোক। তদন্তও সেই পথেই এগোচ্ছে। তদন্ত চলতে থাকলে অর্ধেক দল, নেতা-মন্ত্রীরা জেলে ঢুকে যাবে।

শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। বঙ্গ বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাঁদের মন্তব্য প্রমাণ করে যে বিজেপিই সিদ্ধান্ত নেয় আসলে কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বা কার উপর অভিযান চালানো হবে। সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই নাম নিচ্ছেন কাদের টার্গেট করবে ইডি-সিবিআই।” জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকাম্ত মজুমদার বলেছিলেন, বড় খবর হবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার সমন পাঠানোর কথা উল্লেখ করার সময়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন এখনও পর্যন্ত “৬০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ” সত্ত্বেও, “মোট ফলাফল শূন্য।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, “যদি তারা মনে করে যে তারা ইডি এবং সিবিআই ব্যবহার করে আমাকে ভয় দেখাতে পারে, কারণ আমি কারোর ছেলেকে আক্রমণ করেছি, তাহলে তাদের জানা উচিত যে আমি তাদের আরও সমালোচনা করব… আমি যখন কাউকে তাদের করা কাজের ভিত্তিতেই তাদের দেশবিরোধী বলি, তখন কেন তাদের গায়ে লাগে? আপনি সারা দেশকে দেশপ্রেম শেখাতে যান, কিন্তু নিজের ছেলেকে শিক্ষা দিতে পারেন না। আপনি সবাইকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ নিয়ে বলেছেন। দরিদ্র মানুষ, এমনকি যারা খাবার কিনতেও পারে না, তাদেরকেও ২০ টাকা দিয়ে তেরঙ্গা কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। আপনি সেক্ষেত্রেও দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছেন।”