China: লকডাউন তুলতে তিব্বতে গণবিক্ষোভ দমনে কড়া ভূমিকা জিনপিংয়ের

বিশ্বব্যাপী দু বছর ধরে দাপট চালিয়েছে করোনা। মহামারীতে প্রাণ গিয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। তবে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের ফলে আগের থেকে অনেকটাই কমেছে কোভিডের দাপট। কমেছে সংক্রমণের হারও।…

বিশ্বব্যাপী দু বছর ধরে দাপট চালিয়েছে করোনা। মহামারীতে প্রাণ গিয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। তবে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের ফলে আগের থেকে অনেকটাই কমেছে কোভিডের দাপট। কমেছে সংক্রমণের হারও। তবে এখনও অন্য পরিস্থিতি চিনে (China)। তিব্বতের রাজধানী লাসায় এখনও লকডাউন জারি রেখেছে প্রশাসন। যার জেরে পরিস্থিতি অশান্ত হচ্ছে। পুলিশ এবং আম জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ লেগেই রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে চিন কোনও মুখ খোলেনি। 

প্রায় ৮০ দিন ধরে লকডাউন চলছে লাসায়। চিনের একাধিক প্রদেশ থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক-সহ অন্যান্য প্রদেশের মানুষের সংখ্যা এখানে বেশ কিছুটা হলেও বেশি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে কোভিডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই লকডাউন জারি করা হয়। পড়ে সংক্রমণ কমে গেলেও লকডাউন তুলে নেয়া হয়নি যার ফলে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। 

   

ইতিমধ্যেই একাধিক ভিডিও বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে পথে নেমে বাড়ি যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে অন্যান্য প্রদেশ থেকে আসা শ্রমিকরা। পুলিশ বাধা দিতে এলেই শ্রমিকদের সঙ্গে বেঁধে যাচ্ছে খণ্ডযুদ্ধ। 

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ক্রমাগত লকডাউনের কারণে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। একাধিক জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। এমনকি ভাড়াটিয়ের ভাড়া দিতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। চিনের প্রশাসন কোভিড সংক্রমণের আসল তথ্য লুকিয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করছে, বলো অভিযোগ জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

কূটনৈতিক মহলের দাবি, চিনের আগ্রাসী মনোভাবই তাঁর অর্থনীতির দুরাবস্থার জন্য দায়ী। তিব্বত এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় শাসিত দেশের মধ্যে পড়লেও আগামী দিনে তিব্বতকে মূল প্রশাসনের মধ্যেই আনতে চায় চিন।