BJP: দল ‘তিন নম্বরে’ আর তৃণমূলকে ১৫ মিনিটে ঘরে ঢোকাবেন সুকান্ত, বিজেপিতেই হাসির খোরাক

পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি নেতাদের মুখে একথা আকছার শোনা যায়। কিন্তু বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে ফর্মুলা শোনালেন তাতে…

mamata sukanta BJP: দল 'তিন নম্বরে' আর তৃণমূলকে ১৫ মিনিটে ঘরে ঢোকাবেন সুকান্ত, বিজেপিতেই হাসির খোরাক

পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি নেতাদের মুখে একথা আকছার শোনা যায়। কিন্তু বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে ফর্মুলা শোনালেন তাতে হতবাক রাজনৈতিক মহল। তাঁর কথায়, তৃণমূলের পাশে পুলিশ না থাকলে আর মিথ্যে মামলা না থাকলে সারা রাজ্যে আমরা তৃণমূলকে ১৫ মিনিটে ঘরে ঢুকিয়ে দেবো।

বিধানসভায় বিরোধী দল হলেও গত সবকটি উপনির্বাচনে, পুরভোটে বিজেপি নেমেছে তিন নম্বরে। খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের স্বীকারোক্তি, রাজ্যে সিপিআইএমের ফের উত্থান হচ্ছে। এমনকি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকাম্ত মজুমদার বলেছেন, দলের কোনও যোগ্যতাই নেই এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার।

   

বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করার প্রয়াস জারি রেখেছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি৷ কিন্তু সাংগঠনিক স্তরে অবনতি ঘটে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। বরং বিজেপির অন্তঃদ্বন্দ্বের মাঝে ফায়দা তুলছে বামেরা। পুর নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন, সব জায়গায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তাঁরা। তবুও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে একথা বলেই বসলেন বালুরঘাটের সাংসদ ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

বুধবার পুরুলিয়ার একটি সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন বোমা-বারুদ উদ্ধার হচ্ছে। এর উৎস কোথায়? রাজ্য সরকার তা জানাচ্ছে না কেন? শুধুই বোমা বারুদ নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। এগুলো আপনা আপনি গজিয়ে ওঠেনি। সুকান্তর এই কথায় কার্যত তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিজেপির বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়৷ জল কামানের সঙ্গে যুদ্ধের পর অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। তখনও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

যদিও বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে হাঁসখালি এবং বগটুইয়ের ঘটনার জন্য পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুলিশের ভুলের মাসুল সরকারকে দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকি পুলিশের কাছে সোর্স নেই বলেও অভিযোগ তুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। পুলিশের জন্যই সরকারের ফেস লস হয়েছে। তৎক্ষণাত পদক্ষেপ নিলে এই ঘটনা ঘটত না।