সম্পত্তি বৃদ্ধি হলে CID তদন্ত হয়নি কেন? : দিলীপ ঘোষ

বিগত কয়েক বছরে আড়ে বহরে বেড়েছে রাজ্যের নেতাদের সম্পত্তির পরিমাণ। শাসক দলের ১৯ জনের পর এখন বিরোধী দলের ১৭ জনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা…

Dilip Ghosh

বিগত কয়েক বছরে আড়ে বহরে বেড়েছে রাজ্যের নেতাদের সম্পত্তির পরিমাণ। শাসক দলের ১৯ জনের পর এখন বিরোধী দলের ১৭ জনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তালিকায় বিজেপি সহ সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেতাদের নাম যুক্ত হয়েছে। তালিকায় আছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ।

সম্পত্তি বৃদ্ধির তালিকা দেখে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এটা প্রেস্টিজের ব্যাপার। তাই গায়ে কাদা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কে কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, কেউ কি অভিযোগ করেছে?, কোর্ট যা মনে করবে তাই করবে। এতদিন সিআইডি দিয়ে তদন্ত করাতে পারতেন। করাননি কেন?

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় বিজেপি সহ বিরোধী দলের নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে কয়েক হাজার গুণ। এই তালিকায় রয়েছেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শিশির কুমার অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ কুমার ওঁরাও, মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত, বিশ্বজিৎ সিনহা, অনুপম হজরা, জিতেন্দ্র তিওয়ারীদের নাম।

এছাড়াও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা-কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানের নাম যুক্ত করা হয়েছে তালিকায়।

সিপিআইএম মামলাকে স্বাগত জানাচ্ছে এমনই দাবি করেছেন দলটির যুব নেতা শতরূপ ঘোষ।

সুজিত গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। তৃণমূলের ১৯ জনের পরিবর্তে বিরোধীদের ১৭ জনের নাম দেখে এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শুক্রবার দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকা প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ‘কেউ ছাড় পাবে না’ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি ছাড় পাবেন না এটাতো আমরা নিশ্চিত। উনি একা এই পাপের সাথে একা যুক্ত নন আমরা জানি। আর যারা যুক্ত তাদের নাম বলুক। এবারে মুখ খুলুক।