বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছ থেকে তথ্য পেয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা পি কে হালদারের খোঁজ পায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট (ইডি)। পলাতক এই জালিয়াত এখন পশ্চিমবঙ্গে বন্দি। অথচ তার গ্রেফতারির বিষয়ে জানেই না বাংলাদেশ সরকার!
রবিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, পি কে হালদার বাংলাদেশের নাগরিক ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরেই তাকে চাচ্ছিলাম। সে গ্রেফতার হয়েছে, তবে আমাদের এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত থেকে জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে ভারত জানালেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিতে এসে বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন বলার পর প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) কে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ঢাকার কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়টি উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এম ডি) প্রশান্ত কুমার হালদার। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক পি কে হালদারকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করেছে ভারতের আর্থিক দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অশোকনগরে তার বাড়ি ও বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়।
শনিবার গভীর রাতে স্পেশাল ইডি থেকে পিকে হালদারের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রবিববার সকালে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কলকাতা নগর দায়রা আদালত।
পি কে হালদারের আর্থিক জালিয়াতির চক্রে জড়িত বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বেশকয়েকজন প্রভাবশালী। পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পি কে হালদারের।