BJP: নাড্ডা ফিরলেই যে সব হেভিওয়েটরা বিজেপি ছাড়তে পারেন, মুরলীধরের অফিসে হতাশা

বিধানসভা নির্বাচনে এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এরই মধ্যে বিজেপি (BJP) ছেড়ে একের পর এক নেতারা মুখিয়ে রয়েছেন তৃণমূলে যোগদানের জন্য। চলেও যাচ্ছেন অনেকে। তবে রাষ্ট্রপতি…

JP Nadda

বিধানসভা নির্বাচনে এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এরই মধ্যে বিজেপি (BJP) ছেড়ে একের পর এক নেতারা মুখিয়ে রয়েছেন তৃণমূলে যোগদানের জন্য। চলেও যাচ্ছেন অনেকে। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সাংসদ বিধায়করা যাতে কোনওভাবেই না দলবদল করেন, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, নাড্ডা ফিরলেই তৃণমূলে যোগদান করবেন তিন হেভিওয়েট নেতা।

এই তিন নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে৷ কারণ, লকেটের সাম্প্রতিক গতিবিধি নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে৷ এনিয়ে বিজেপির ঘরানার একটি সংবাদপত্রে আলোচনা হয়েছে। শেষমেশ গুঞ্জন বাড়ল সোমবার। যখন জেলার কর্মসূচিতে রাজ্য সভাপতি উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না ওই সাংসদ৷

সাংসদ লকেটের দলত্যাগ সম্ভাবনা বাড়ছে। অর্জুন সিংয়ের পর তাঁকে হারানো বিজেপির জন্য বিরাট ক্ষতিই হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিজেপিরই একাংশের দাবি, তৃণমূলের তরফে সবুজ সংকেত মিললেই তিনি দলবদলের জন্য প্রস্তুত।

দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছেন অনুপম হাজরা৷ এই মুহুর্তে কেন্দ্রের নেতাদের মধ্যে একজন হলেও রাজনৈতিকভাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন৷ দলবদল করতে মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে ফের বোলপুর থেকে নির্বাচনী টিকিট পেতে পারেন অনুপম।

তৃতীয় নম্বরে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের পুরাতন আসনে তিনি জয়লাভ করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু এই মুহুর্তে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিরাট দূরত্ব। তবে খড়্গপুরেই বিজেপির পরাজয় হতে হিরনকে ঘিরে দলবদলের সম্ভাবনা বেড়েছে।