News Desk: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক যুক্তিবাদী লেখক অভিজিৎ রায়কে (Abhijit Roy) ঢাকায় খুন করা হয় ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। প্রকাশ্যে ভিড়ের মাঝে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। কোপানো হয়েছিল অভিজিতের স্ত্রী রফিদা আহমেদ বন্যাকেও। ভয়াবহ সেই খুনের চক্রী জঙ্গি নেতা মেজর জিয়ার কোনও নির্ভরযোগ্য সংবাদ দিতে পারলেই মিলবে ৫৫ লক্ষ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মূল্যে এর পরিমান (২০.১২.২১) ৪১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা।
এমনই বিপুল পরিমান আর্থিক পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রক। বিবিসি জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতরের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস কর্মসূচির টুইট বার্তায় দুই বাংলাদেশি জঙ্গি নেতা মেজর জিয়া ওরফে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের ব্যাপারে কোন তথ্য জানা থাকলে তা টেক্সট করে পাঠাতে। এর জন্য একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গি নেতা মেজর জিয়া সম্পর্কে কিছু জানলে যে কেউ +1-202-702-7843 নম্বরে মেসেজ পাঠাতে পারেন। যিনি তথ্য দেবেন তার বিষয়ে সবকিছু গোপন রাখবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার।এই পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি নেতা ও সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে ১০০ জনের বেশিকে মোট ১৫ কোটি ডলারেরও অধিক অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
আনসার আল ইসলাম/ আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম বা পূর্বতন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) এর কমান্ডার মেজর জিয়া। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সৈয়দ জিয়াউল হক এই সংগঠনটির নেতা। সংগঠনে তার পরিচিতি মেজর জিয়া নামে।
এবিটি জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য যুক্তিবাদী ও মুক্তমনা লেখক বুদ্ধিজীবীদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই ঢাকায় প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছিল বাংলাদেশি-আমেরিকান ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। তিনি ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখক ছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্লগ ‘মুক্তমনা’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ আলোচিত।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি হামলা ও যুক্তিবাদী খুনে জড়িত আনসার আল ইসলাম তথা এবিটি জঙ্গি সংগঠন। জঙ্গি মেজর জিয়ার নির্দেশে এই সব খুন হয় পরপর।
মেজর জিয়ার নির্দেশে খুন হন, বাংলাদেশের প্রথম সমকামী পত্রিকা ‘রূপবান’ এর প্রতিষ্ঠাতা জুলহাজ মান্নান (Xulhaz Mannan) ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়॥
এই খুনের মামলায় পলাতক মেজর জিয়ার ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা মেজর জিয়া এখন আত্মগোপনে। তার তৈরি সংগঠন আনসার আল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি জঙ্গি নামে সক্রিয়। বেশকয়েকজন সদস্য কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ধরা পড়েছে আগেই।