Kharagpur: বাঁ-হাতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ডান হাত খুইয়ে বাড়ি ফিরলেন রোগী ‌

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের একবার চিকিৎসা বিভ্রাট রাজ্যে। বাঁ হাতের হাড় ভাঙায় অস্ত্রোপচার করিয়ে সুস্থ হতে হাসপাতালে ‌গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের (Kharagpur) এক রেলকর্মী সুভাষ দাস।…

Kharagpur

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের একবার চিকিৎসা বিভ্রাট রাজ্যে। বাঁ হাতের হাড় ভাঙায় অস্ত্রোপচার করিয়ে সুস্থ হতে হাসপাতালে ‌গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের (Kharagpur) এক রেলকর্মী সুভাষ দাস। তবে অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই বিপত্তি। বাঁ হাতের পরিবর্তে ডান হাতে অস্ত্রোপচার করে ডান হাত খুইয়ে বাড়ি ফিরলেন হতভাগ্য ঐ রেলকর্মী।

২০১৪ সালে একটি দুর্ঘটনায় সুভাষ দাসের বাঁ হাতের হাড় ভেঙে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার করে প্লেট লাগিয়ে হাত জুড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন বিশিষ্ট অস্থি বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফ। পরের বছর ফের অস্ত্রোপচার করে প্লেটগুলি বের করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন ওই বিশেষজ্ঞ। কিন্তু পরের বছর বাবা মায়ের মৃত্যু হওয়ায় অস্ত্রোপচার করাতে পারেননি সুভাষ বাবু। ২০১৬ সালে রেলে চাকরি পান খড়্গপুরে সুভাষ দাস। সদ্য চাকরি পেয়ে ছুটির আবেদন করায় মন সায় দেয়নি ওই ব্যক্তির। যার ফলে সেই বছরও অস্ত্রোপচার করাননি তিনি। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও তা না করানোর ফলে চলতি মাসে পুরনো সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফের দ্বারস্থ হতে হয় সুভাষ দাসকে। ঐদিন রাতেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্থি বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফ অস্ত্রোপচার করে সুভাষ বাবুর বাঁ হাতের প্লেট গুলো বের করে দেন।

বাঁ হাতে অস্ত্রপচার হাওয়ায় প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে এবং অন্য প্রয়োজনে তার ডান হাতে একটি চ্যানেল করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর থেকেই ডানহাতে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় কিন্তু সেই সময় চিকিৎসক আব্দুল লতিফকে ডাকা হলেও তিনি আসেননি। তিনি আসেন রাত ১১ টা নাগাদ কিন্তু ততক্ষনে সুভাষ বাবু ডান হাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে যায়। তখন চিকিৎসক আব্দুল লতিফ সুভাষ দাসকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করে চিঠি লিখে দেন। পাকিস্তান হাশরের নিয়ে গেলেও বিনাচিকিৎসায় তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় অবশেষে গার্ডেনরিচে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হলেও পরবর্তীকালে তাকে রেলের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় যেখানে চিকিৎসকরা পরিস্থিতি অনুযায়ী তার ডান হাতের কনুই থেকে বাদ দিয়ে দেন। দু’দিন আগেই বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে।

ইতিমধ্যেই সুভাষ বাবু চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুড়গুড়িপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকি উপযুক্ত বিচার পাওয়ার জন্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে খড়্গপুর মহকুমাশাসক, জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন সুভাষ বাবু স্ত্রী প্রতিমা দাস। এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি ওই বেসরকারি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা। সিএমওএইচ-কে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।