হু হু করে বাড়ছে মাঙ্কিপক্স, কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে-রইল ১০ উপায়

মাহ্কিপক্স কেন হচ্ছে, এটা জানতে পারলেই অর্ধেক ভয় কাটবে। কারণ তখনই বুঝতে পারবেন কি করলে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন যে সংক্রামিত…

মাহ্কিপক্স কেন হচ্ছে, এটা জানতে পারলেই অর্ধেক ভয় কাটবে। কারণ তখনই বুঝতে পারবেন কি করলে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন যে সংক্রামিত রোগীর সংস্পর্শের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসটি ত্বক থেকে ত্বকের স্পর্শ, শারীরিক সংস্পর্শ এবং ফোঁটার মাধ্যমে একজন থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে যায়।

এটি একটি জুনোটিক রোগ। যা তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে। মাঙ্কিপক্স হলে প্রথমে জ্বর আসে। এর সাথে শরীর এবং পেশীতে ব্যথা, মাথাব্যথা এবং ফোলা লিম্ফ নোড আসে। মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা ধীরে ধীরে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার তিন থেকে চার দিন পর এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। যা ২১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই ভাইরাসের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল শরীরে ফুসকুড়ি। যদি কোনও ব্যক্তির এই সমস্যা হয় তবে অবিলম্বে হাসপাতালে যান। এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না, বরং প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় মনোযোগ দিন।

এই উপায়ে নিজেকে রক্ষা করুন

১. জ্বর বা ফ্লুর লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসবেন না।

২. পরিবারের কোনো ব্যক্তির মধ্যে যদি ফ্লু-এর মতো উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে তাকে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

৩. ঘরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

৪. রোগাক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে আসবেন না।

৫. জঙ্গল সাফারিতে যাবেন না।

৬. হাত ধুয়ে খান

৭. আপনি যদি বিদেশ থেকে কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন এবং তিন থেকে চার দিন পরে আপনার জ্বর হয়, তাহলে অবিলম্বে নিজেকে পরীক্ষা করুন।

৮. অনিরাপদ যৌন মিলন করবেন না

৯. পার্টি এবং জনাকীর্ণ জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন

১০. যদি আপনি মাঙ্কিপক্সের কোনো লক্ষণ দেখতে পান তবে তা লুকাবেন না বরং স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান