Jyotipriya Mallick: মন্তেশ্বরে সিসিটিভি মোড়া বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয়র রহস্যজনক আনাগোনা

রেশন দুর্নীতির তদন্তে কলকাতায় ইডি গ্রেফতার করেছে বনমন্ত্রী (Jyotipriya Mallick) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁর বিশাল বাংলোর সন্ধান মিলেছে শান্তিনিকেতনে। বীরভূমের প্রতিবেশি পূর্ব বর্ধমান জেলায় এবার একটি…

রেশন দুর্নীতির তদন্তে কলকাতায় ইডি গ্রেফতার করেছে বনমন্ত্রী (Jyotipriya Mallick) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁর বিশাল বাংলোর সন্ধান মিলেছে শান্তিনিকেতনে। বীরভূমের প্রতিবেশি পূর্ব বর্ধমান জেলায় এবার একটি আকাশী নীল রঙের বিরাট বাড়ি ঘিরে কৌতুহল তীব্র। অভিযোগ, ওই বাড়িটিও জ্যোতিপ্রিয়র। একজন মন্ত্রী হয়ে কতগুলি বাড়ির মালিক জ্যোতিপ্রিয়? উঠছে এই প্রশ্ন।

পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের পূর্ব খাঁপুরবাসীরা বলছেন, মন্ত্রী এলে বাড়ির চারপাশে বিশেষ রক্ষী মোতায়েন থাকত। তিনি কী করতেন ভিতরে কেউ জানে না। গোটা বাড়িটা সিসিটিভি মোড়া। তবে মন্ত্রীর সাথে যারা আসতেন তাদেরও বাইরে দেখা যেত না। অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই বাড়িতে এমন কিছু হতো যা রহস্যজনক।

২০১১ সালে রাজ্যে সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার পতন হয়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে প্রথমবার খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পরে তিনি বারবার ফতোয়া জারি করে বলেছিলেন সিপিএমকে সামাজিক বয়কট করতে হবে। এখন তিনি বনমন্ত্রী। রেশনে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যদিও তাঁর দাবি এসবই ষড়যন্ত্র। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। আর সিপিএমের কটাক্ষ, এখন জেলে ভাত খাক জ্যোতিপ্রিয়।

মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর তার একাধিক বিশাল বাংলো ও বাড়ির হদিস মিলছে। মন্তেশ্বরের বাড়িটি নিয়ে তীব্র কৌতুহল। তিনি মাঝে মধ্যেই আসতেন। পূর্ব খাঁপুর বামুনপাড়ায় আছে এই বাড়ি। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা কিছু বলতে চাইছেন না। কিছু এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই বাড়িতে তল্লাশি হলেই অনেককিছু নথি বা প্রমাণ মিলতে পারে।

স্থানীয় মন্ডল বিজেপি সভাপতি ঝুলন হাজরা বলেন, বর্তমান বনমন্ত্রীক বাড়ি মন্তেশ্বর বিধানসভার বামুনপাড়া গ্রামে। ওর পিতা শক্তিপদ মল্লিক স্বাধীনতা সংগ্রামী। ওনার ছেলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রেশন ব্যবস্থা থেকে যেভাবে দুর্নীতি করেছে তাতে আমরা লজ্জিত। ভুয়ো রেশন কার্ডের মধ্যে গরীব মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়ে দুর্নীতি করে ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা সঞ্চয় করেছে। বাড়ি গাড়ি, মাঠের জমি, আই টি আই কলেজ করেছিল। কলেজের জন্য খরচ হয়েছে কোটি টাকা। ইডি সিবিআই যখন তদন্ত করবে তখন সেই টাকা কোথা থেকে পেয়েছিল সেটাও যেন খতিয়ে দেখা হয়।

আরও অভিযোগ কলকাতার বহু জায়গায় ওনার পাঁচ থেকে ছটা ফ্ল্যাট আছে। করোনা মহামারীর সময় হাজার কোটি তার ব্যাঙ্কে ঢুকেছে। জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ের টিউশনি পড়িয়ে তার ব্যাঙ্কে সাত থেকে আট কোটি টাকার লেনদেন দেখা গেছে।