বুদ্ধবাবুর জমি নীতিতে রক্তাক্ত নন্দীগ্রামেই জয়ী CPIM সদস্যদের মিষ্টিমুখ

ক্ষমতায় থাকতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন্দীগ্রামে (Nandigram)  কারখানা গড়বার জন্য যে জমি অধিগ্রহন নীতি নিয়েছিলেন তার খেসারত দিয়ে রাজ্যপাট হারানো ও সেই ধাক্কায় বিধানসভায়…

ক্ষমতায় থাকতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন্দীগ্রামে (Nandigram)  কারখানা গড়বার জন্য যে জমি অধিগ্রহন নীতি নিয়েছিলেন তার খেসারত দিয়ে রাজ্যপাট হারানো ও সেই ধাক্কায় বিধানসভায় CPIM শূন্য হয়ে গিয়েছে। সেই নন্দীগ্রামে কৃষকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ও তার প্রেক্ষিতে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কে একদা বাম ঘাঁটি পরে বাম শূন্য হয়। তবে গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে নন্দীগ্রামে ফের জমি পাচ্ছে বাম শিবির। পঞ্চায়েত ভোটে ফিকে লাল ছোঁয়া যেন তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে গেল।

পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের নন্দীগ্রাম অঞ্চলে সিপিআইএমের দু’জন জয়ী সামসুন্নাহার এবং সুরাইয়া বিবি। জেলা সিপিআইএম সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম-১ নম্বরে ১০ বছর ও নন্দীগ্রাম-২ নম্বর ব্লকে ২০ বছর পর জয় এসেছে। দুই এলাকার গ্রামবাসীরা জয়ীদের নিয়ে মিষ্টিমুখ করেন।

নন্দীগ্রামে সিপিআইএমের দায়িত্বে থাকা পরিতোষ পট্টনায়েক জানান জয়ী দুই বাম পঞ্চায়েত সদস্যাকে টাকার লোভ, হামলার ভয় দেখিয়েও শাসকদল কব্জা করতে পারেনি। তিনি বলেন, দল না ছাড়ার পণ করে আত্মরক্ষায় বঁটি, কাটারি বিছানা রেখে শুয়ে থাকতেন সুরাইয়া ও সামসুন্নাহার। এটা নন্দীগ্রাম। এখানে লাল ঝাণ্ডা যেটুকুই আছে সেটার মধ্যে কোন খাদ নেই, একেবারেই নিখুঁত।

খোদ নন্দীগ্রামেই সিপিআইএমের জয় জেলার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চিত। তৃ়ণমূল ও বিজেপি দুই তরফে স্বীকার করা হয়েছে বাম ভোটের একটা অংশ বামে ফিরছে গত বিধানসভা ভোটে মীনাক্ষী মুখার্জিকে এখানকার প্রার্খী করার পর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মীনাক্ষী মুখার্জিকে হারিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হন বিজোপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিরোধী দলনেতা।

বিধানসভার ভোট প্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে কৃষকদের উপর গুলি চালানোর বিষয়ে সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাপ-ব্যাটার নির্দেশে গুলি চলেছিল। তাঁর নিশানায় ছিলেন শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী।