Tag Archives: Ram navami violence

রামনবমী মামলায় NIA আইনকে চ্যালেঞ্জ মমতা সরকারের

রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ আটকাতে NIA আইনকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের। রামনবমী মামলায় NIA আইনকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের তরফ থেকে। নথিবদ্ধ অপরাধের ক্ষেত্র ছাড়া কেন NIA, প্রশ্ন রাজ্যের। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রামনবমী ঘটনায় নির্দেশের পর আবেদন রাজ্যের তরফ থেকে।, নথিবদ্ধ অপরাধের ক্ষেত্র ছাড়া কেন NIA, প্রশ্ন রাজ্যের। আদালতে তীব্র বিরোধিতা কেন্দ্রের। রামনবমী ঘটনায় নির্দেশের পর আবেদন রাজ্যের।

রামনবমীতে NIA তদন্তের নির্দেশ হয়েছে। যদিও এই তদন্ত এখনও পর্যন্ত আটকাতে পারেনি রাজ্য সরকার। তবে এবার ঘুরপথে তারা মামলা শুরু করল। NIA-র যে আইন, সেই আইন বাতিলের এক প্রকার দাবি তুলল রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ আটকাতেই তারা এই আইনটি চ্যালেঞ্জ করেছে। কারণ ক্ষেত্র বিশেষ বা Scheduled offence বা crime –এর ক্ষেত্রে যদি এনআইএ হতে পারে, সব ক্ষেত্রে এনআইএ হওয়া সম্ভব নয়, এতে রাজ্যের দায়িত্ব আছে, রাজ্যের Law and order আছে। সুতরাং তা সত্তেও এনআইএ কীভাবে তদন্ত করবে এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টে নতুন মামলা করল রাজ্য সরকার। যে মামলা নিয়ে আপত্তি তুলেছে কেন্দ্র সরকার। তাদের বক্তব্য যে এই আবেদন বা মামলা কোনওভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রামনবমীতে তদন্ত করছে। রাজ্য বার বার হাইকোর্টকে ভুল পরিচালিত করার চেষ্টা করছে, সেই কারণে এই আবেদন।

অপর দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছেন। আগামী ১৬ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি এবং সেইদিন সবপক্ষ হলফনামা দেবে এবং তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।

Ram Navami Violence: রিষড়ায় রাজ্যপালের কড়া বার্তা, ‘কেউ ছাড় পাবে না’

রামনবমী শোভাযাত্রা ঘিরে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের (Ram Navami Violence) জেরে রিষড়ায় জারি ১৪৪ ধারা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে উত্তরবঙ্গ থেকে রিষড়া এসে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। তিনি বলেছেন, যারা সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করবেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে হাওড়ার শিবপুরের পর হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠি সংঘর্ষের জেরে প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রিষড়ায় অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে। রাজ্যপাল স্পষ্ট করে জানিয়েছেন মানুষের শান্তিতে বাঁচারর অধিকার রয়েছে। যারা শান্তি বিঘ্নিত করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজ্যে শান্তিরক্ষা করতে সকলকে একজোট হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রাজ্যপাল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তা আমাদের সকলের জানা। আমরা কখনওই সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করতে দেব না, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা সকলে একসঙ্গে শান্তিরক্ষা করব। বাংলার মানুষ এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে না। যে কোনও মূল্যেই শান্তি নিশ্চিত করা হবে।

Ram Navami Violence: রিষড়ায় জারি ১৪৪ ধারা, ট্রেন না পেয়ে দুর্ভোগে যাত্রীরা

রামনবমী শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্তির (Ram Navami Violence) পর সোমবারেও উত্তপ্ত হুগলির রিষড়া। রাতে একাধিক জায়গায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে রিষড়ায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। সকাল থেকে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিল। দুর্ভোগে জনতা। উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে কলকাতায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কোনওভাবেই দুষ্কৃতিদের দৌড়াত্ম্য বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার রাতে রিষড়ার রেল স্টেশনের কাছে অশান্তি ছড়ায়। চন্দননগর কমিশনারেট, হুগলি গ্রামীণ পুলিশ, রেল পুলিশের যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকা জুড়ে টহল দিচ্ছে বিরাট পুলিশ।

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, কাশ্মীর ঠাণ্ডা হলে বাংলা কেন হবে না। তিনি রাজ্য্ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ,সবই পরিকল্পিত। বিজেপির ইন্ধনে হামলা হয়েছে। আর সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য সরকার জেরবার। বেকাররত্ব বাড়ছে। তাই তৃণমূল ও বিজেপি ধর্মের তাস খেলছে।

Ram Navami Violence: রামনবমী সংঘর্ষে হাইকোর্ট চাইল রিপোর্ট

রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে অশান্তির জেরে রাজ্য সরগরম। হাওড়ার শিবপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে।

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সাধারণ মানুষ কোনভাবেই যাতে না অসুবিধায় পড়েন, সেদিকে নজর রাখতে হবে। শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান, দোকানবাজার যাতে বিনা বাধায় খোলা যেতে পারে, তাও নিশ্চিত করা উচিত রাজ্যেরই।

আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে বিচারপতি রিপোর্ট তলব করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ এবং আদালতে ভিডিও পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

Dilip Ghosh: কাশ্মীর শান্ত হলে বাংলা নয় কেন ?

রামনবমী উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় রিষড়ায় সংঘর্ষের পর বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) দিলীপ ঘোষের সাথে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে দিলীপ রিষড়ার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেশে বলেন, কাশ্মীর শান্ত হলে বাংলা নয় কেন?

রবিবার বিজেপির একটি মিছিলকে ঘিরে রণক্ষেত্র আকার নেয় রিষড়া। ইটবৃষ্টি থেকে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। সোমবার থথমে পরিস্থিতি। এই ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দুষছে তৃণমূল। অভিযোগ, বিজেপি পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেও সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি।

Amit Shah: ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাবাজদের উল্টো করে ঝোলানো হবে

রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দেশের একাধিক জায়গায় অশান্তির (Ram Navami Violence) ঘটনা ঘটেছে। তেমনই অশান্ত রয়েছে বিহার। রবিবার বিহারে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) অমিত শাহ। সেখান থেকে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাবাজদের উল্টো করে ঝোলানো হবে।

রবিবার বিহারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেন শাহ। সাসারামের অশান্ত পরিবেশের কারণে নওয়াদায় সভা করেন তিনি।

অমিত শাহর সাফ বার্তা, বিহারের মানুষ উদ্বিগ্ন। ২০২৪ সালে মোদীজিকে সব আসন দিয়ে দিন – ৪০ টি মধ্যে ৪০ টি আসনই দিন। আর ২০২৫ সালে বিজেপির সরকার গঠন করুন। এই দাঙ্গাবাজদের উলটো ঝুলিয়ে সোজা করার কাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

Ram Navami Violence: শিবপুরে যাওয়ার পথে বিজেপি সভাপতি সুকান্তকে বাধা পুলিশের

বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিলকে (Ram Navami Violence) ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল হাওড়া শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়। সেই ঘটনার পর রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহতদের সঙ্গে কথা বলতে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP President Sukanta Majumdar)। কিন্তু শিবপুরে যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা।

এদিন শিবপুরের শীতলা মন্দিরে পুজো এওয়ার পর আহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রওনা দেন সুকান্ত। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিরাট পুলসিহ বাহিনী। গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রওনা দেওয়ার আগেই আটকে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় আগে থেকেই পুলিশের ওপর আনাস্থা এনেছিল বিজেপি। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধীনে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুকান্তরা।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেকারণে ৫ জনের বেশী কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তখনই রাজ্য বিজেপি সভাপতির প্রশ্ন, তৃণমূলের বিধায়ককে আটকানো হচ্ছে না। কেন আমাকে আটকানো হচ্ছে? তবে কী অরূপ রায়ের ক্ষেত্রে আলাদা আইন আমার ক্ষেত্রে আলাদা আইন? পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়।

বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, হাওড়া পুলিশ আমাকে কাগজ দেখাচ্ছে। মন্ত্রী অরূপ রায় যখন ভিতরে গিয়েছিল তখন কাগজ হারিয়ে গিয়েছিল। ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র বিজেপির লোকেদের জন্য তৃণমূলের লোকেরা সেখানে যাবে। ভিতরে কি হচ্ছে কেউ জানে না। হয়তো তাঁদেরকে মারাও হচ্ছে। একাধিক বিজেপির কার্যকর্তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আগামী দিনে যদি তাঁদের কারোর কোনও ক্ষতি করা হয় তাহলে ঘেরাও করা হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কার্যত রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল শিবপুরের কাজিপাড়া। দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘিরে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তারপর থেকে এখনও বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৪০ জন।

Ram Navami Violence: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শিবপুর, চলছে মাইকিংয়ে প্রচার

রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার অগ্নিগর্ভ (Ram Navami Violence )হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। ঘটনায় তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে সিআইডি। গত দুই দিন অশান্তির পর শনিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শিবপুর এলাকা (Shibpur in Howrah) একাধিক জায়গায় চলছে মাইকিং প্রচার। জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সন্ধ্যে বেলা থেকে জিটি রোডে যান চলাচল শুরু হয়।

শনিবার সকাল থেকে একাধিক দোকানপাট ও শপিং মল খুলতে শুরু করেছে। বাজার বসছে রাস্তা সংলগ্ন এলাকায়। এখনও একাধিক জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা। যাতে কেউ না জমায়েত করে সেকারণেই সকাল থেকে চলছে মাইকিংয়ে প্রচার। এলাকায় টহল দিচ্ছে ব়্যাফ। কিছু এলাকায় এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুরর ফজির বাজারের পিএম বস্তি এলাকা। মিছিলও চলাকালীন জিটি রোডের ওপরেই দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এমনকি বন্দুক অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি ভাঙচুর চলে একাধিক গাড়িতে।

শুক্রবার ঘটনাটি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ধর্ম কখনও অশান্তিকে প্রশয় দেয় না। ধর্ম শান্তির কথা বলে, মানবিকতার কথা বলে। যে ঘটনা ঘটেছে এটায় বিজেপি প্ল্যান ছিল। বিজেপি একাধিক সংগঠন রয়েছে, এদের প্ল্যান ছিল যেমন করে হোক দাঙ্গা লাগানো। বিজেপি গতকাল দেশের প্রায় ১০০ টি জায়গায় এভাবে দাঙ্গা লাগিয়েছে। হাওড়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, আমি এটা বারবার বলে দিয়েছিলাম, ওই রুটে যাতে মিছিলও না ঢোকে বারবার বলে দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু ক্রিমিনালরা বন্দুক, বুলডোজার নিয়ে গিয়ে হামলা করেছে। যেমস্ত জায়গায় সংখ্যালঘুদের বাস সেখানেই হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনাটি নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।

Howrah Ram Navami: রামনবমী সংঘর্ষের পর অমিত শাহ-সুকান্তর বিশেষ আলোচনা

হাওড়ায় রামনবমী (Howrah Ram Navami) শোভাযাত্রা ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি থমথমে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের উপরেই দোষ চাপিয়েছেন আবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বলেছেন সবই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Home Minister Amit Shah) ফোন করলেন রাজ্যপালকে। আবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (BJP President Sukanta Majumdar) সাথেও কথা হয় শাহর। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন অমিত শাহ।

শুক্রবার থমথমে হাওড়া। রামনবমী শোভাযাত্রা নিয়ে এদিনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার শিবপুরে রামনবমীর যাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই শিবিরের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। অগ্নিগর্ভে পরিণত হয় শিবপুর এলাকা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়ার বেশ কিছু এলাকায়।

বিজেপি সূত্রে খবর,গোটা পরিস্থিতি নিয়ে শাহকে অবগত করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহে গোটা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে যাতে তদন্ত হয় সেজন্য অমিত শাহের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যে ঘটনা ঘটেছে এটায় বিজেপি প্ল্যান ছিল। বিজেপির একাধিক সংগঠন রয়েছে, এদের প্ল্যান ছিল যেমন করে হোক দাঙ্গা লাগানো। বিজেপি গতকাল দেশের প্রায় ১০০ টি জায়গায় এভাবে দাঙ্গা লাগিয়েছে। হাওড়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, আমি এটা বারবার বলে দিয়েছিলাম, ওই রুটে যাতে মিছিলও না ঢোকে বারবার বলে দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু ক্রিমিনালরা বন্দুক, বুলডোজার নিয়ে গিয়ে হামলা করেছে।

রামনবমী সংঘর্ষে পুলিশমন্ত্রী হয়ে পুলিশ কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন মমতা: সেলিম

রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হাওড়ায় সংঘর্ষের জেরে রাজনৈতিক মহল সরগরম। এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকেই দুষেছেন (Mamata Banerjee)  মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে গোটা ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানকে তীব্র সমালোচনা করলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশমন্ত্রী হয়ে পুলিশ কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী সেফ খেলছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সেলিম। তাঁর প্রশ্ন, ওখানে গন্ডগোলের আবহ থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী রামনবমীর দু’দিন আগে থেকে নবান্ন ছেড়ে গঙ্গার উল্টো পাড়ে এসে বসেছিলেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী সেফ খেলতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নিজের দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না? তাঁরাই তো দুবরাজপুর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, ইসলামপুরে বিএইচপি, আরএসএসের সঙ্গে মিলেমিশে এই উন্মাদনা ছড়িয়েছেন।

সেলিম আরও বলেন, বাংলায় ১২ মাস ধরেই উৎসব হয়। তার মধ্যে এখন নয়া সংযোজন রামনবমীর মিছিলও। যেটা ধেয়ে যায় মসজিদ এবং মাজারের দিকে। দেশের সর্বত্র সঙ্ঘ পরিবার ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলির নামে পরিকল্পনামাফিক এটা করা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনায় এখানে তৃণমূলও মিশে গিয়েছিল। আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মেরুকরণের রাজনীতি শুরু হয়েছে।

সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছেন, ২ এপ্রিল, রবিবার শান্তি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।