Ram Navami Violence: শিবপুরে যাওয়ার পথে বিজেপি সভাপতি সুকান্তকে বাধা পুলিশের

বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিলকে (Ram Navami Violence) ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল হাওড়া শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়।

BJP President Sukanta Majumdar

বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিলকে (Ram Navami Violence) ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল হাওড়া শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়। সেই ঘটনার পর রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহতদের সঙ্গে কথা বলতে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP President Sukanta Majumdar)। কিন্তু শিবপুরে যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা।

এদিন শিবপুরের শীতলা মন্দিরে পুজো এওয়ার পর আহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রওনা দেন সুকান্ত। কিন্তু সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিরাট পুলসিহ বাহিনী। গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রওনা দেওয়ার আগেই আটকে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় আগে থেকেই পুলিশের ওপর আনাস্থা এনেছিল বিজেপি। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধীনে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুকান্তরা।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেকারণে ৫ জনের বেশী কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তখনই রাজ্য বিজেপি সভাপতির প্রশ্ন, তৃণমূলের বিধায়ককে আটকানো হচ্ছে না। কেন আমাকে আটকানো হচ্ছে? তবে কী অরূপ রায়ের ক্ষেত্রে আলাদা আইন আমার ক্ষেত্রে আলাদা আইন? পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়।

বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, হাওড়া পুলিশ আমাকে কাগজ দেখাচ্ছে। মন্ত্রী অরূপ রায় যখন ভিতরে গিয়েছিল তখন কাগজ হারিয়ে গিয়েছিল। ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র বিজেপির লোকেদের জন্য তৃণমূলের লোকেরা সেখানে যাবে। ভিতরে কি হচ্ছে কেউ জানে না। হয়তো তাঁদেরকে মারাও হচ্ছে। একাধিক বিজেপির কার্যকর্তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আগামী দিনে যদি তাঁদের কারোর কোনও ক্ষতি করা হয় তাহলে ঘেরাও করা হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কার্যত রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল শিবপুরের কাজিপাড়া। দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘিরে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তারপর থেকে এখনও বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৪০ জন।