Tulsidas balaram: আপাতত স্থিতিশীল বলরাম, দেখা করে এলেন নিতুরা

কিংবদন্তি খেলোয়াড় তুলসীদাস বলরাম (Tulsidas Balaram) অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় সল্টলেকের আপেলো হাসপালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

Tulsidas balaram

কিংবদন্তি খেলোয়াড় তুলসীদাস বলরাম (Tulsidas Balaram) অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় সল্টলেকের আপেলো হাসপালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। রয়েছেন আপেলো হাসপালের ২২৫ নম্বর বেডে। আজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে কর্মসমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার এবং সাথে কয়েকজন ক্লাব সদস্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁকে দেখতে এবং ডাক্তারদের সাথে কথা বলে জানতে পারা গেছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে ভালো রয়েছে।দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর টানে বহুবছর আগেই তিনি ভবানীপুর ছেড়ে উত্তরপাড়ায় চলে আসেন।

পিকে-চুনী-বলরাম, ভারতীয় ফুটবলের এক সোনালি অধ্যায়। সেই মহাত্রয়ীর শেষজন এখনও জীবিত, আরও ভাল করে বললে এখনও জীবনের সঙ্গে বাজি রেখে লড়ছেন। দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর টানে ভবানীপুরের পাট চুকিয়ে বহুকাল আগে চলে এসেছেন উত্তরপাড়ায়, গঙ্গার ধারে ফ্ল্যাটে।গঙ্গার ওপারেই দক্ষিণেশ্বর। ছাদে উঠলে আরতির ঘণ্টাধ্বনি শোনা যায়। দিনের শেষে সেটাই যেন পরম তৃপ্তি দেয় বলরামের মনে।

৮৫ বছর বয়সি তুলসীদাস বলরাম ষাটের দশকে ময়দান কাঁপানো নাম ছিলেন। খেলেছেন জাতীয় দলেও। এমনকী অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছেন ভারতের হয়ে। ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি। ক্লাব ফুটবলে লাল-হলুদের হয়েও প্রচুর ম্যাচ খেলেছিলেন। ১৯৬১ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হয়েছিলেন তিনি। যদিও দু’বছর পরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবসর নিয়েছিলেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৩ সাল, এই সাত বছর ছিল ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ। তার মূল কারণ ছিল চুনী-পিকে-বলরাম ত্রয়ী। তিনজনেই স্ট্রাইকার।

পিকে খেলতেন রেলের হয়ে। চুনী মোহনবাগানে আর বলরাম ইস্টবেঙ্গলে। মাঠের বাইরে এই ত্রয়ী ছিল খুব ভাল বন্ধু। দেশের হয়ে টানা খেলেছেন তাঁরা।বলরাম মানেই এক জীবন্ত আবেগ। তিনি হায়দরাবাদের মানুষ হলে কী হবে, ফুটবলার জীবনে সেই যে কলকাতায় চলে এসেছিলেন, তারপর থেকে আর এখান থেকে যাননি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার অর্জুন পেলেও পদ্মশ্রী পাননি, অথচ ভবানীপুর থানা থেকে তাঁর নামে রিপোর্টও গিয়েছিল। শেষমেশ বাতিল হয়ে যায় এক অজ্ঞাত কারণে।

সেই নিয়ে সারা জীবন আক্ষেপ বয়ে বেড়িয়েছেন। বারবার বলতেন, আমি বাঙালি না হয়েও বাংলার মানুষের চেয়ে বেশি বাঙালি। তাঁর উত্তরপাড়ার ফ্ল্যাটে গেলে দেখা যাবে মা কালী, বুড়ো শিবের ফটো। তাঁর ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে দেখা যায় দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি। যেহেতু তিনি একা থাকেন, সেই কারণে নিজের শেষ ইচ্ছের কথা দেওয়ালে লিখে রেখেছেন, তাতে রয়েছে, মৃত্যুর পর যেন তাঁর দেহ দাহ না করা হয়, সেটি গবেষণার কাজে যেন ব্যবহার করা হয়। আর মৃত্যুর পরে যেন কোনও স্মরণসভা আয়োজন না করা হয়।