Medinipur: পুরবোর্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিক্ষোভে বেআব্রু গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব, হাসছে বাম

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভায় তৃণমূলেরই ১১ জন কাউন্সিলর বিক্ষোভ দেখালেন। এর জেরে মেদিনীপুর (Medinipur) সরগরম। কাউন্সিলরদের বিক্ষোভে জেলার রাজনীতি সরগরম। গোটা ঘটনায় শাসক দলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব…

Medinipur Municipality

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভায় তৃণমূলেরই ১১ জন কাউন্সিলর বিক্ষোভ দেখালেন। এর জেরে মেদিনীপুর (Medinipur) সরগরম। কাউন্সিলরদের বিক্ষোভে জেলার রাজনীতি সরগরম। গোটা ঘটনায় শাসক দলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব বেআব্রু হয়ে গেছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল কাউন্সিলরদের অভিযোগ, পৌরবোর্ডের অসহযোগিতা ও কাউন্সিলর লিপি বিশোইয়ের বিরুদ্ধে মেদিনীপুর শহরে যে পোস্টারিং শুরু হয়েছে তারই প্রতিবাদ করা হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলল এই অবস্থান-বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান মাঠে নামেন। তিনি সমাধানের আশ্বাস দিলে অবস্থান ওঠে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

কয়েকদিন ধরে মেদিনীপুর পুরসভার সামনে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের কাউন্সিলর লিপি বিশোইয়ের নামে পোস্টারিং শুরু করে পুরসভার শ্রমিক সংগঠন। সেই পোস্টারে বলা হয়েছিল-” লিপি বিশোই শ্রমিক সংগঠনের উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করেছেন, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” কাউন্সিলর লিপির অভিযোগ তাকে হেনস্থা করেছে শ্রমিকরা। পুরসভা কেন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এই অভিযোগে লিপি বিশোই সহ ১১ জন কাউন্সিলর অবস্থান বিক্ষোভ করেন শুরু করে দেন বৃহস্পতিবার।

মেদিনীপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব বলেন, বিক্ষোভের নাম করে তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর ও আরও কয়েকজনকে হেনস্থা করল শ্রমিকরা। তাদের বিরুদ্ধে পুরো বোর্ড ব্যবস্থা নেবে সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তী কালে কিছুই হয়নি। উল্টে সেই শ্রমিক সংগঠন অপপ্রচার করে শহরজুড়ে পোস্টারিং করল। পোস্টার দেওয়া হল খোদ পুরসভাতেই। পুরসভার এই অসহযোগিতা, ও শ্রমিক সংগঠনের সেই হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এই অবস্থান আমাদের।

মেদিনীপুর পুরসভায় মোট ২৫ টি আসন। এরমধ্যে ২০ টি আছে তৃণমূলের দখলে। সিপিআইএম দখলে ৩ টি। ১টি নির্দল ও ১টি কংগ্রেসের দখলে। তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও গোষ্ঠী তৈরি হয়ে যায় কয়েকমাসের মধ্যে।

পুরসভার ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বর্তমান চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। কোনোরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় শাসক দল।

তবে তৃণমূলের এই পরিস্থিতিকে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণ বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ সংগত কারণে। পুরবোর্ডে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তবে সবার পেছনে ওদের গোষ্ঠী কোন্দল কাজ করছে।