তিনবার এসিএল ইনজুরির পরেও বড় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন দেখছেন ‘সব্জি বিক্রেতা’ তাপস

   একই পায়ে তিনবার এসিএল (ACL) ইনজুরি। চিকিৎসকরা আর ফুটবল (Football) না খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। ত্রিবেণীর মগরার ‘ফুটবল পাগল’ তাপস কুমার পাল মাঠকে দূরে সরিয়ে…

three time Football acl injured tapas kumar pal inspiring story
  

একই পায়ে তিনবার এসিএল (ACL) ইনজুরি। চিকিৎসকরা আর ফুটবল (Football) না খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। ত্রিবেণীর মগরার ‘ফুটবল পাগল’ তাপস কুমার পাল মাঠকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি বেশি দিন। আবার বল পায়ে শুরু করেছেন ফুটবল। খেলবেন কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL) ফার্স্ট ডিভিশনের টিম সুপার ব্যানের হয়ে।

   

ডান পায়ে তিনবার চোট, তিনবারই এসিএল ইনজুরি। বেঙ্গালুরুর নামী জায়গা থেকে চিকিৎসা করার পর ডাক্তার বলেই দিয়েছিলেন, ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব না। কিন্তু তাপস বারবার ফায়ার এসেছেন নিজের ভালবাসার ফুটবল মাঠে। সংসারের চাপে তাঁকে বাজারে সব্জি বিক্রি করতে হচ্ছে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এখনও লড়াই করে যাচ্ছেন তাপস।

East Bengal: বার্সেলোনার লা মাসিয়ার দর্শনে ইস্টবেঙ্গলকে সাজাচ্ছেন কুয়াদ্রত!

আক্ষেপ করে তাপস বলেছেন, “সাকসেসের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলাম একটা সময়। সেখান থেকে ভাগ্যের দোষে বারবার ইনজুরির জন্য সাফল্যের দরজা ছুঁতে পারিনি। আমি ফুটবল পাগল ছেলে, তাই সবাই মানা করার পরও জেদ করে এখনো ফুটবলটা খেলি। অনেকে আমাকে পাগল বলে। আমার জেদ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের হয়ে খেলার, টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার।”

তাপসের ফুটবল প্রোফাইল রীতিমতো ঈর্ষণীয়। আশিক কুরুনিয়ন, আশীষ রাইদের সঙ্গে খেলেছেন। কলকাতার বিধাননগর অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসার পর অনূর্ধ্ব ১৭ পুনে এফসি, অনূর্ধ্ব ১৯ ডিএসকে অ্যাকাডেমির মতো নাম করা জায়গায় ছিলেন। ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে খেলেছেন সুব্রত কাপ। অনূর্ধ্ব ১৭ অল ইন্ডিয়া টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাপস কুমার পাল। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পুনে এফসির হয়ে খেলেছেন পুনে লিগ। ২০১৭-তে ডেএসকে’র হয়ে খেলেছেন অনূর্ধ্ব ১৯ আই লিগ। ২০২১-২২ মরসুমে খেলেছেন গোয়া প্রো লিগ।

ISL: ক্লাবকে বিদায় জানাল দুই ‘প্রহরী’, একজন বাংলার

সেন্টার ব্যাক ও সাইড ব্যাক পজিশনে খেলতে পারেন মগরার তাপস কুমার পাল। আর্মিতে চাকরির সুযোগ এসেছিল, হয়নি চোটের জন্য।

তাপস বলেছেন, “এলাকার অনেক ছেলেমেয়ে, তাদের বাবা-মা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। কিন্তু আমি বারংবার চোট পাওয়ার পর তারাও আর সাহস দেখাতে পারছে না। আমি এখনও হাল ছাড়েনি। এখনও পারবো, এই আশা নিয়ে কলকাতা ফুটবল লিগের ফার্স্ট ডিভিশন ক্লাবে সই করেছি।”