অবশেষে শাপমুক্তি। হিরো আইএসএলে অংশগ্রহণ করার পর থেকে কোনোবারই মুম্বাই সিটি এফসিকে হারানো সম্ভব হয়নি মোহনবাগানের (Mohun Bagan)। প্রত্যেকবার ভালো লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই ফিরতে হত মেরিনার্সদের। তবে গতকাল রাতে বদলে গিয়েছে সমস্ত কিছু। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমবারের মতো শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসিকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যায় কলকাতার এই প্রধান। যা দেখে খুশি সকলেই।
আসলে আইএসএলের সাধারণ ম্যাচে মুম্বাইয়ের কাছে পরাজিত হলেও পরের ম্যাচেই বাগান ব্রিগেড ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম থাকলেও ডুরান্ড কাপের পরিস্থিতিটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। এক্ষেত্রে টিকে থাকতে হলে যেকোনো মূল্যেই জয় পেতে হত তাদের। সেটাই এবার করে দেখালো হুয়ান ফেরেন্দোর ছেলেরা। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের মধ্যেই দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাগান ব্রিগেড। এবার সামনে এফসি গোয়া। সেই ম্যাচ জিতলেই এসে যাবে ফাইনাল খেলার ছাড়পত্র।
যা দেখে খুশি আপামর বাগান জনতা। মুম্বাই দলের বিরুদ্ধে প্রথম জয় পেয়ে যথেষ্ট খুশি বাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এই ম্যাচের শুরু থেকেই বলতে গেলে আমরা আন্ডারডগ ছিলাম। তবে আজ আমাদের ছেলেরা অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে। আস্তে আস্তে খেলতে খেলতে টিমটা তৈরি হবে। আরও যত সময় এগোবে দলের শক্তি আরও বাড়বে। দলের অধিকাংশ নতুন খেলোয়াড়। তাছাড়া সকলে সেরকম অনুশীলন করারও সুযোগ পায়নি। তবে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে মুম্বাই বধের থেকে ও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনালে ওঠে আসা। এবার সামনে গোয়া রয়েছে ওদের নিয়ে ভাবতে হবে। বলতে গেলে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে হবে।
তবে সেখানেই শেষ নয়। নাম না করে পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল দলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, মুম্বাই সিটি দলকে আমরা হারিয়েছি। কিন্তু আমরা এখনো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাইনি। অনেকেই ভাবে সেটা। এক ম্যাচ জিতে অনেকে যেভাবে সেলিব্রেশন করে সেটা নতুন করে বলার নেই। তবে আমরা টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবি। তাই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনাল। সেখান থেকে ফাইনালে উঠে ভালো খেলে কাপ জিতে সেলিব্রেশন করতে চাই। তার এই মন্তব্যের পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বর্তমানে যা পরিস্থিতি কলকাতার দুই প্রধান সেমিফাইনাল জিতলে ফাইনালে ফের ডার্বির সাক্ষী থাকতে চলেছে শহরবাসী।