আজও জয় পেল না এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal )। জামসেদপুরের কাছে হেরে গিয়েছে দল। স্বদেশী ব্রিগেড নামিয়েও হয়নি শেষ রক্ষা। শাকের আস্তরণ ভেদ করে নাকে এসে ঠেকছে আঁসটে গন্ধ।
মঙ্গলবারের লাল-হলুদ টিম লিস্টে বিদেশিদের মধ্যে ছিলেন কেবল ড্যারেল সিডিওল। তাও তিনি রিজার্ভ বেঞ্চে। স্বদেশী একাদশ নামিয়েছিলেন ইন্টেরিম কোচ রেনেডি সিং। আইএসএল-এর বিদেশি সমৃদ্ধ দলের বিরুদ্ধে স্বদেশি ব্রিগেডের নামানো নিঃসন্দেহে এক সাহসী সিদ্ধান্ত। ম্যাচ থেকে একটা পয়েন্ট পেলেও ইতিবাচক কিছু বলা যেত। কিন্তু তা হয়। দল হেরে গিয়েছে৷
হতশ্রী বিদেশি ফুটবলার রিক্রুটমেন্টের জন্যই যে রেনেডিকে ভারতীয় একাদশ নামাতে হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশও সম্প্রতি স্বদেশী ব্রিগেডের পক্ষে সওয়াল করা শুরু করেছিলেন। রেনেডিও হয়তো তেমনটাই কিছু ভেবেছিলেন। কিন্তু পারলেন না। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে গিয়ে নিভে গেল টিম টিম করে জ্বলতে থাকা মশাল। ৮৮ মিনিটে জামসেদপুরের হয়ে গোল করেছে ভারতীয় স্ট্রাইকার ঈশান পান্ডিয়া। লিগ ক্রম তালিকার পয়লা নম্বরে চলে গেল তাঁর দল।
এবারের আইএসএল-এ এগারো ম্যাচ খেলা হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। ৬ টা ড্র, ৫ টা হার। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গল শেষবার জিতেছিল জামসেদপুরের বিরুদ্ধে। লাল-হলুদের পক্ষে গত মরশুমের ৭ ফেব্রুয়ারি সেই ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ২-১। এরপর আর জয়ের মুখ দেখেনি দল। টানা ১৫ ম্যাচ বিজয়ীর তকমা পায়নি মশাল বাহিনী।
কলকাতা ময়দানে একসময় বিদেশি ছাড়াই দল নামাতেন কর্তারা। খালি পায়ে ফুটবল খেলার চলও ছিল এক সময়। সে সব এখন অতীত। খালি পায়ে উঁচু মানের কোনো টুর্নামেন্টে ফুটবল খেললে যেমন প্রশ্ন উঠবে, তেমনই বিদেশি ছাড়া প্রথম একাদশ দেখলেও মনে প্রশ্ন জাগতে বাধ্য। পরিসংখ্যান ঘেঁটে কিছু ফুটবল বোদ্ধা জানাচ্ছেন, বিদেশি ছাড়া ইস্টবেঙ্গল শেষবার দল নামিয়েছিল ২০০৪-০৫ মরশুমে। আই লিগের ম্যাচে। এরপর এদিনের আইএসএল। এভাবে আর কতো দিন, প্রতি ম্যাচ শেষেই এখন এই প্রশ্ন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের।