রাত গড়ালেই সন্তোষ ট্রফি ফাইনালের (Santosh Trophy Final) দিন। সোমবার সন্ধ্যা আটটার সময় বল গড়াবে কেরালার মাঠে। মুখোমুখি আয়োজক কেরালা এবং বাংলা (Kerala vs Bengal)। তেত্রিশতম সন্তোষ ট্রফি খেতাব ঘরে তোলার জন্য লড়াই চালাবেন বাংলার ছেলেরা।
আরও পড়ুন: Santosh Trophy : ফাইনালে বাংলা, ইস্টবেঙ্গলের জন্য রয়েছে একাধিক ইতিবাচক দিক
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দলের প্রতিনিধিরা। গ্রুপ পর্যায়ে বাংলাকে পরাস্ত করেছিল কেরালা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন বঙ্গ সন্তানরা। এর আগে ৩২বার সন্তোষ ট্রফি সেরা হয়েছিল রাজ্য। এর আগে ৪৫ বার ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। সোমবারের ফাইনাল ম্যাচ ৪৬ তম। ১৯৪১ সাল থেকে শুরু হয়েছিল সন্তোষ ট্রফি টুর্নামেন্ট। সেই থেকে বাংলার রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ন।
২০১৮ সালে প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। খুব কাছে গিয়েও হাতছাড়া হয়েছিল শিরোপা। নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন অমীমাংসিত থাকায় পেনাল্টি শ্যুট-আউটে গড়িয়েছিল ম্যাচ। সেখানে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলা।

রাজ্যের এই পরিসংখ্যান আরও বাড়ানোর চেষ্টায় থাকবেন ফারদিন আলি মোল্লারা। সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘উত্তেজনাকর ম্যাচ হতে চলেছে। আশা করবো সমর্থকরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করবেন। তুল্যমূল্য প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধে যে দল সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে জিতবে সন্তোষ ট্রফি।’
আরও পড়ুন: Santosh Trophy : অটোচালকের ছেলে এক ম্যাচে করেছেন পাঁচ গোল
অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদার বলেছেন, ‘কেরালা চাপে থাকবে। গত ম্যাচে ওরা আমাদের হারিয়েছিল। সুতরাং এই ম্যাচ আমাদের কাছে বদলার ম্যাচ।’

অন্যদিকে কেরালার কোচ বিনো জর্জ বলেছেন, ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের কাছে এটি মরণ-বাঁচন লড়াই। আমরা বাংলাকে হারাতে চাই। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, আমরা তাঁদের জন্য ম্যাচটা জিততে চাই।’
সেমিফাইনালে দুই দলই উড়িয়ে দিয়েছিল তাদের প্রতিপক্ষকে। কেরালা ৭-৩ গোলে পরাস্ত করেছিল কর্ণাটককে। মনিপুরের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতেছিল বাংলা।