প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস কায়েম করল ভারতীয় হকি দল। বৃহস্পতিবার (৮ অগস্ট) ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে তারা খেলতে নেমেছিল। এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া স্পেনকে ২-১ গোলে পরাস্ত করল। এটাই ভারতীয় হকি দলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক পিআর শ্রীজেশের (PR Sreejesh Retirement) শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল। আর কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে বোধহয়, এর থেকে বড় সাফল্য আর কিছু হতে পারত না। ভারতের জয়ের পর দেশের ১৪০ কোটি জনগণ শ্রীজেশের প্রশংসায় কার্যত পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন। টিম ইন্ডিয়া অতন্দ্র প্রহরীকে সকলেই একবাক্যে বলছেন, ‘তোমারে সেলাম’।
স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হতে না হতেই টার্ফের উপর শুয়ে পড়েন শ্রীজেশ। দেশকে জেতানোর পর যেন তিনি ভারতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। চোখের পলকেই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন দলের বাকি সতীর্থরা। গোটা দল তখন জয়ের আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠেছে। এরপর শ্রীজেশকে টার্ফের বাইরে ফেন্সের উপর বসানো হয়। এরপর ভারতীয় দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় তাঁদের হকি স্টিক উঁচিয়ে তাঁকে সম্মান জানান। একজন খেলোয়াড়ের কাছে বিদায়ী ম্যাচে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কীই বা হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, অলিম্পিক্স টুর্নামেন্ট শুরু আগে ঘোষণা করলেও বৃহস্পতিবার শ্রীজেশ আরও একবার মনে করিয়ে দেন যে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের এই ম্যাচই তাঁর কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। একটি টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি শেষবারের জন্য গোলপোস্টের নীচে দাঁড়াতে চলেছি। আমার হৃদয় অত্যন্ত গর্বিত। একজন তরুণ হকি তারকা হিসেবে আমি একদিন যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম, আজ তা পরিণতি লাভ করছে। ভারতের সম্মান সর্বদাই আমি রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। এটা আমার কাছে একপ্রকার অসাধ্যসাধনই ছিল।’
As I stand between the posts for the final time, my heart swells with gratitude and pride. This journey, from a young boy with a dream to the man defending India’s honour, has been nothing short of extraordinary.
Today, I play my last match for India. Every save, every dive,… pic.twitter.com/pMPtLRVfS0
— sreejesh p r (@16Sreejesh) August 8, 2024
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছিলেন, ‘আজ আমি ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নামছি। প্রতিটা সেভ, প্রতিটা ডাইভ, সমর্থকদের প্রতিটা গর্জন আমার আত্মাকে প্রতিধ্বনিত করবে। ধন্যবাদ ভারত, আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তবে এটাই শেষ নয়, আমার স্মৃতিগুলো সযত্নে লালন করার এটাই সবে শুরুয়াত।’ সবশেষে তিনি লেখেন ‘জয় হিন্দ’।