রবিবার অর্থাৎ ১৮ অগস্ট মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে শেষপর্যন্ত আর মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আয়োজন সম্ভব হয়নি। এই ডার্বি ম্যাচ বাতিল হওয়ার পরই কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা রবিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে সেই বিক্ষোভ সমাবেশে অকারণে লাঠিচার্জ করে কলকাতা পুলিশ। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে।
‘মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারিনি…’, ডার্বি বাতিল প্রসঙ্গে ‘ক্যাপ্টেন্স নক’ শুভাশিসের
ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে, পুলিশের এই লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে। আইনজীবী ঋজু ঘোষাল এই আবেদন করেছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই এই মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার অর্থাৎ ২০ অগস্ট এই মামলার শুনানি হতে পারে। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কিছুটা হলেও যে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে, তা বলা যেতেই পারে।
This is the 1st time in the History more then 60,000 supporters of Mohun Bagan & East Bengal football club came together & demanding justice for the doctor of #RGKarHospital. The police even Lathi Charge the supporters but failed. Lets fight for Justice✊🏻
mamata must resign… pic.twitter.com/2xbNn54i4V— pardeep jakhar (@jakharpardeep) August 19, 2024
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, কলকাতা ডার্বি ম্যাচ নিয়ে গত শনিবার (১৮ অগস্ট) লালবাজারে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী না থাকার কারণে এই ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই দলের ঝুলিতেই এক পয়েন্ট করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, রবিবাসরীয় ডার্বি ম্যাচ বাতিল হলেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি চলতি ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে।
আর এই ম্যাচ বাতিল হতেই মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা কার্যত হতাশ হয়ে পড়েন। রবিবার বিকেল চারটে থেকে তাঁরা সল্টলেক স্টেডিয়ামের বাইরে শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু করেন। ইতিমধ্যে যে পুলিশ প্রশাসন জানিয়ে ছিল যে ডার্বি ম্যাচে ৬০,০০০ সমর্থক নিয়ন্ত্রণ করার পর্যাপ্ত বাহিনী তাদের কাছে নেই, এই প্রতিবাদ মিছিলে কয়েকশো পুলিশ দেখতে পাওয়া যায়। কোথা থেকে এত পুলিশ এল, তা নিয়েও সমর্থকরা ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। যাইহোক, গোটা বিষয়টা যে রীতিমতো খারাপ জায়গায় যাচ্ছে, তা বলা যেতেই পারে।