মাতৃত্বের কাছে নতিস্বীকার: গেমস ভিলেজে বিসমাহর সঙ্গেই থাকবেন মেয়ে ফাতিমা

নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিশ্বকাপে নিজের কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ (Bismah Maroof) । সেখানে যেন সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে…

Bismah Maroof

নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিশ্বকাপে নিজের কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ (Bismah Maroof) । সেখানে যেন সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন তাঁর শিশুকন্যা। এমনকি হরমনপ্রীত কউর, স্মৃতি মান্ধানার মতো ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিসমাহর শিশুকন্যার সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক ফুটফুটে শিশু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ক্রিকেটারদের এনে দাঁড় করিয়েছিল একই মেরুতে, একই বিন্দুতে।

কিন্তু কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগেও মেয়েকে নিয়ে গেমস ভিলেজে ঢোকার অনুমতি দেয়নি বিসমাহ মারুফকে। পিসিবি কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের স্কোয়াডের সঙ্গে অতিরিক্ত দু’জন মানুষের অ্যাক্রিডিটেশন দেওয়ার আবেদন করেছিল। কিন্তু গেমস কর্তৃপক্ষ তাদের সেই আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ী হল মাতৃত্বই। মায়ের ভালোবাসা আর সন্তানের স্নেহ-আবেগের কাছে হার মানতে বাধ্য হল কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ। পাক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফকে অনুমতি দেওয়া হল তাঁর শিশুকন্যা ফাতিমাকে সঙ্গে নিয়ে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে থাকার।

চাপের মুখে কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে মেয়ে ফাতিমাকে নিয়ে কমনওয়েলথ গেমসের ভিলেজে থাকতে বিসমাহ মারুফ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়। বিশ্বকাপে মেয়েকে নিয়ে খেলতে যাওয়ার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন বিসমাহ। জানিয়েছিলেন, সন্তানের কাছাকাছি থাকবেন বলেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাকিস্তান বোর্ডও অনুমতি দেয় তাঁকে। কিন্তু কমনওয়েলথ গেমসে যাওয়া নিয়ে বিপদে পড়েন বিসমাহ। মেয়েকে গেমস ভিলেজে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রবল সমালোচনার চাপে পিছু হটে কর্তৃপক্ষ।

কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে বিসমার পাকিস্তান। ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। এছাড়া বার্বাডোজ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও খেলবে তারা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, তারা আয়ারল্যান্ড এবং কমনওয়েলথ গেমসের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে যে পাকিস্তান দলটি জিতেছিল, সেই দলটিকেই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বিসমাহ মারুফের কাঁধেই রয়েছে পাক দলের নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব।