বাবরকে সরিয়েই অবশেষে সাড়ে তিনবছর পর ‘শাপমোচন’ ঘটাল পাকিস্তান

শেষমেশ শাপমোচন ঘটল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ফেভারিট থেকেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। এছাড়াও চলতি ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫০০ রান করার পরেও শেষমেশ হারতে…

শেষমেশ শাপমোচন ঘটল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ফেভারিট থেকেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। এছাড়াও চলতি ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫০০ রান করার পরেও শেষমেশ হারতে হয়েছে শান মাসুদ-বাবর আজমদের। আর এই লজ্জার হারের পরই বাদ পড়েন বাবর আজম-শাহীন আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটাররা।

তাতে আখেরে লাভই হয়েছে পাকিস্তানের। আজ চতুর্থ ইনিংসে ২৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা ইংল্যান্ডকে ১৪৪ রানে থামিয়েছে শান মাসুদ এন্ড কোম্পানি। সেই সাথে ঘুচে গিয়েছে পাক ক্রিকেটের দীর্ঘ অপেক্ষার মুহূর্ত! সাড়ে তিন বছর পর আজ ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে (Pakistan vs England Noman Ali 11 wickets) ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছে পাকিস্তান।

   

রচিনের একশো, সাউদির পঞ্চাশেই ভারতের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছে নিউজিল্যান্ড

পাকিস্তান দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর টানা ১১ টেস্টে জয় দেখেননি শান মাসুদ–বাবর আজমরা। তিন বছর আট মাসের অপেক্ষা শেষের সম্ভাবনা গতকাল মুলতানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে পাকিস্তান।

এদিন জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৬১ রান, পাকিস্তানের ৮ উইকেট। আজ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ওলি পোপকে ফিরিয়ে সেই জয়ের পথে এগিয়ে দেওয়ার কাজটি শুরু করেন সাজিদ খান। এরপর বাকি কাজটা একা নোমানেরই।

মুলতানের এই পিচে প্রথম টেস্টে পাঁচ দিন খেলা হয়েছে বলে এটি ছিল কার্যত নবম দিনের উইকেট। স্পিনাররা সহায়তা পাচ্ছিলেন আগের দিন থেকেই। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা গতকালের মতো আজও টিকে থাকা ও রান তোলার জন্য সুইপ–রিভার্স সুইপেই ভর করেছেন বেশি। আর এ এই ঘূর্ণি উইকেট পেয়েই যেন ফুল ফোটালেন নোমান আলী। এই জয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮টি সহ মোট ১১ উইকেটই নোমানেরই ।

পন্থের চোটে চাপ বাড়ছে ভারতের? বড় ‘মন্তব্য’ রোহিত শর্মার

স্টোকস, কার্স থেকে শুরু বশির—চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের পতন হওয়া ৮ উইকেটের সাতটিই নিয়েছেন নোমান (Pakistan vs England Noman Ali 11 wickets)। সব মিলিয়ে বাঁ হাতি এ স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৪৬ রানে ৮ উইকেট। ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৩৩.৩ ওভারেই। ইংল্যান্ডের হয়ে স্টোকস ( ৩৭), কার্স (২৭) চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান: ৩৬৬ ও ২২১ (সালমান ৬৩, শাকিল ৩১, কামরান ২৬, রিজওয়ান ২৩; বশির ৪/৬৬, লিচ ৩/৬৭, কার্স ২/২৯)।

ইংল্যান্ড: ২৯১ ও ১৪৪ (স্টোকস ৩৬, কার্স ২৭, পোপ ২২; নোমান ৮/৪৬, সাজিদ ২/৯৩)।

ফল: পাকিস্তান ১৫২ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাজিদ খান।

সিরিজ: তিন টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি শেষে ১–১ সমতা