এএফসি কাপের প্রথম লেগের ম্যাচে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এগিয়ে থেকে ও রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল সবুজ-মেরুন (Mohun Bagan) দলকে। যা নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ ছিলেন বাগান কোচ হুয়ান ফেরেন্দো। তবে নিজেদের সমস্ত ভুল ত্রুটি শুধরে নিয়ে দ্বিতীয় লেগে অর্থাৎ বসুন্ধরার ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল বুমোসদের।
কিন্তু তা আর হল কই। আজ প্রথমদিকে বসুন্ধরা দলের বিপক্ষে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধের শেষের দিকেই গোল খেয়ে বসে মোহনবাগান। যারফলে ১-১ ফলাফল থাকে প্রথমার্ধে। এরপরেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল ময়দানের এই প্রধানের। সেইমতো একের পর এক আক্রমণ ও উঠে আসতে থাকে বসুন্ধরার রক্ষনভাগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। উল্টে ম্যাচ শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগেই রবিনহোর গোলে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের এই দাপুটে ফুটবল দল। সেই ফলাফলেই শেষ পর্যন্ত আসে জয়।
যারফলে, শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসকে পিছনে ফেলে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের তালিকায় শীর্ষ স্থানে উঠে আসে বসুন্ধরা কিংস। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। আসলে, শুরু থেকে আক্রমনাত্মক মেজাজে ধরা দিলেও এবার খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে তাদের। যারফলে, পরবর্তীতে যথেষ্ট প্রভাব পড়তে পারে দলের অন্দরে। তা ভালো মতোই বুঝতে পারছেন বাগান কোচ। এত কিছুর পরে দিমিত্রি পেট্রাতোসকে মাঠে না নামানোর কারন নিয়ে ও যথেষ্ট বিতর্ক দেখা দিয়েছিল সকলের মধ্যে। তবে বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সাময়িক চোট থাকার জন্যই নাকি বসুন্ধরার মাঠে দিমিত্রিকে নামানোর সাহস করেননি বাগানের স্প্যানিশ বস।
পাশাপাশি বসুন্ধরার মাঠ নিয়ে ও দেখা দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। আসলে আইএসএল থেকে শুরু করে এএফসি কাপের মতো টুর্নামেন্টে যেভাবে এর আগে খেলে এসেছেন বাগান ফুটবলাররা, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছুতেই খাপ খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছিল না এই মাঠে। আজ ম্যাচের মধ্যেই সকলের সামনে চলে আসে মাঠের সেই করুন দশা। যেখানে কার্যত ঘাসের আদলে সাজানো হয়েছে মাঠের একটা বিরাট অংশ। সেই ছবি নেটমাধ্যমে ধরা দিতেই শোরগোল পড়ে যায় সকলের মধ্যে। এএফসি কাপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকে। বাদ যাননি খোদ সৃঞ্জয় বসু। ম্যাচ চলাকালীন মাঠ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় তাকে। নিজের সোশ্যাল সাইট থেকে সৃঞ্জয় বসু লেখেন ” এই জঘন্য মাঠে কিভাবে খেলা দেয় এএফসি”। তবে তিনি একানন। এই একই প্রশ্ন করে চলেছেন মোহনবাগানের আপামর সভ্য সমর্থকরা।