সমর্থকরা আন্দোলন করলেও, গা বাঁচাল শহরের তিন ফুটবল প্রধান? উঠছে প্রশ্ন

গত রবিবার (১৮ অগস্ট) মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি (Mohun Bagan vs East Bengal) ম্যাচ আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু, শহরের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে সেই ম্যাচ…

গত রবিবার (১৮ অগস্ট) মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি (Mohun Bagan vs East Bengal) ম্যাচ আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু, শহরের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে সেই ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। সেকারণে ডার্বি ম্যাচের আয়োজন সম্ভব না হলেও, দুই দলের সমর্থকরা রবিবারই বিকেলবেলা বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে আন্দোলন করতে শুরু করেন। এই আন্দোলন একটা বার্তা বেশ স্পষ্ট করে দিয়েছিল। ফুটিয়ে তুলেছিল শহর কলকাতার ফুটবল ভ্রাতৃত্ব।

কিন্তু, মঙ্গলবার অর্থাৎ ২০ অগস্ট কলকাতার তিন প্রধান দলের শীর্ষকর্তা যৌথভাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে সমর্থকরা ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জায়গা থেকে এই আন্দোলন করতেই পারেন। কিন্তু, ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

পদক জিতে নিল ভারত, আসতে পারে আরও একটা মেডেল

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এই বিষয়টা নিয়ে বর্তমানে শুধুমাত্র গোটা রাজ্যই নয়, গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভের আঁচ জ্বলতে শুরু করেছে। বাংলার ফুটবল সমর্থকরা মনে করেন, এই বিক্ষোভের আঁচই লেগেছে কলকাতা ডার্বির গায়ে। সেকারণে গত শনিবার (১৭ অগস্ট) লালবাজারে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শেষপর্যন্ত বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে এই ম্যাচের জন্য তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারবে না। সেকারণেই এই ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়।

Advertisements

এক ওভারে ৩৯ রান! যুবরাজের রেকর্ডও ম্লান

মঙ্গলবার তিন প্রধানের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর একাধিক সিদ্ধান্ত উঁকি দিতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বলছেন, নিজেদের গা বাঁচানোর জন্যই মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব এই অবস্থান গ্রহণ করলেন। অনেকে তো আবার এও বলছেন যে প্রশাসনিক তোষামোদের কারণেই শহরের তিন ফুটবল প্রধান নিজেদের দায় এড়িয়ে গেলেন। বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হতে শুরু করেছে। যদিও এই ব্যাপারে ক্লাবের পক্ষ থেকে এথনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal) যথেষ্ট ভালো পারফরম্য়ান্স করছে। ইতিমধ্যেই তারা কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করে ফেলেছে। টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে পঞ্জাব এফসি’র বিরুদ্ধে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট খেলতে নামবে। অন্যদিকে, শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। কলকাতা ডার্বি বাতিল হওয়ার পর দুটো দলকেই এক পয়েন্ট করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। শেষপর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের শিরোপা কোন দলের মাথায় ওঠে, সেটাই আপাতত দেখার।