এ যেন কুর্শিই এসে তাঁকে ধরা দেওয়ার অপেক্ষায়! বড় নজির গড়ার মুখে অমিত শাহের পুত্র তথা বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। সব ঠিক থাকলে আর কয়েক মাসের মধ্যেই জয় শাহকে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থ আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে দেখা যেতে পারে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কুর্শিতে রয়েছেন গ্রেগ বার্কলে। ৩০ নভেম্বর তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি বার্কলে ভিডিও কনফারেন্সে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ার মাইক বেয়ার্ড সহ আইসিসি পরিচালকদের জানিয়েছিলেন যে, তিনি আর তৃতীয় মেয়াদের জন্য আইসিসি-র চেয়ারম্যানের পদের দৌড়ে থাকতে আগ্রহী নন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই, বিশ্ব ক্রিকেটের চূড়ায় বসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে জয় শাহের।
আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের সমর্থন রয়েছে জয় শাহের পক্ষে। ফলে শক্ত ঘাঁটিতেই অবস্থান করছেন বিসিসিআই সচিব। তাই লড়াইয়ে তাঁর হেলায় জয় মেলা কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে, জয় শাহ আইসিসি চেয়ারম্যান পদে আগ্রহী কিনা তা বোঝা যাবে চলতি মাসের ২৭ তারিখের মধ্যে। কারণ, ওইদিনই আইসিসি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমার শেষ দিন।
সমর্থকরা আন্দোলন করলেও, গা বাঁচাল শহরের তিন ফুটবল প্রধান? উঠছে প্রশ্ন
আইসিসি-র এক মুখপাত্র ‘দ্য এইজ’কে জানিয়েছেন, “আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বোর্ডকে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি তৃতীয়বারের মেয়াদে দাঁড়াবেন না। নভেম্বরের শেষের দিকে তাঁর মেয়াদ শেষ হলে তিনি পদ ছাড়বেন। বার্কলে ২০২০ সালের নভেম্বরে আইসিসি-র চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে ওই পদে বার্কলে ফের নির্বাচিত হন।’ তাঁর সংযোজন, ‘২৭ অগস্টের মধ্যে পরবর্তী চেয়ারম্যান পদের লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে হবে এবং যদি একাধিক প্রার্থী থাকে তবে নির্বাচন হবে। নতুন চেয়ারম্যানের মেয়াদ শুরু হবে ১ ডিসেম্বর তারিখ থেকে।’
পলাতক হাসিনার ঘনিষ্ঠ পাপন মৃত্যুভয়ে লুকিয়ে, গোপন ডেরা থেকে বিসিবি সভাপতির পদত্যাগ
আইসিসি-র নিয়ম মোতাবেক, চেয়ারম্যান নির্বাচনে ১৬টি ভোট রয়েছে। জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৯টি ভোটের (৫১%)। আগে চেয়ারম্যান পদে যেতার জন্য দরকার হত দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার। ১৬ জন ভোটদাকারীর সঙ্গেই জয় শাহের খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে, শাহের বিসিসিআই সচিব হিসাবে মেয়াদের এক বছর বাকি আছে। তারপরে তাঁকে ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে তিন বছরের বাধ্যতামূলক বিরতি (কুলিং অফ পিরিয়ড) যেতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও বিসিসিআই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একজন পদাধিকারী তিন বছরের কুলিং অফ পিরিয়ডের আগে ছয় বছর অফিসে থাকতে সক্ষম। একজন ব্যক্তি মোট ১৮ বছরের জন্য প্রশাসক পদে বসতে পারেন। শাহ যদি তার সচিব পদের এক বছর বাকি থাকতে আইসিসিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে বিসিসিআইতে তার চার বছর বাকি থাকবে। লড়াই জিতলে জয় শাহই হবেনআইসিসির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ (৩৫ বছর) চেয়ারম্যান।
ভারত থেকে আইসিসি সভাপতি ও চেয়ারম্যান কারা?
সভাপতি-
জগমোহন ডালমিয়া (১৯৯৭ থেকে ২০০০)
শারদ পাওয়ার (২০১০-২০১২)
চেয়ারম্যান–
এন শ্রীনিবাসন (২০১৪-২০১৫)
শশাঙ্ক মনোহর (২০১৫-২০০০)