শুক্রবার ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন ভারতের প্রাক্তন মিডফিল্ডার নরেন্দ্র থাপা (Narendra Thapa)। বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী ও তিন সন্তানকে। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুভতে ফুটবল মহলে নেমে এসেছে শোক।
থাপারই একসময়ের সতীর্থ, প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার অলোক মুখার্জি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে এফসিআই–এর অফিস ক্যা ন্টিনে খাওয়া দাওয়া করেন। গল্পও করেছেন। পরে শরীরটা খারাপ লাগছে বলে সল্টলেকের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পর আর উঠলেন না। শুক্রবার সাত সকালে সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে। অলোক মুখার্জি জানিয়েছেন, থাপা এর আগেও স্নায়ু রোগে ভুগছিলেন। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার পর অফিসে যাতায়াত শুরু করেছিলেন। অলোকের কথায়, “শুধু ভাল ফুটবলার নয়, ভাল মনের মানুষও ছিল নরেন্দ্র।”
কলকাতার তিন প্রধানের জার্সি পরেই খেলেছেন থাপা। মহমেডানের হয়ে খেলার সময় মাঠে থাপার সঙ্গে সংর্ঘষে বড় চোট পেয়েছিলেন ভারতের আর এক প্রাক্তন ফুটবলার কৃষ্ণেন্দু রায়। তার স্মৃতিচারণ,”ময়দানে নরেন্দ্র থাপার মত এত ভদ্র ছেলে দেখিনি। খুব ভাল ছেলে ছিল। কোচ মিলোভানের যে কয়েক জন প্রিয় ছিল তাদের মধ্যে থাপা ছিল অন্যকতম। ওর উচ্চতা বেশি না হলেও স্কিল, স্ট্যাামিনা এবং স্পিড ছিল চোখে পড়ার মত। এফসিআই-এর কৃশানুর পর এফসিআই-এ বিপজ্জনক ফুটবলার বলতে আমরা নরেন্দ্র থাপাকেই বুঝতাম।” নরেন্দার থাপা শুরুতে জেসিটিতে খেলার পর কলকাতা শহরে চলে আসেন। বাংলা ও ভারতীয় দলের হয়েও খেলেছিলেন।