Sachin Suresh: নিজের দল নিয়ে কী বলছেন কেরালার গোলরক্ষক?

গত রবিবার আইএসএলের ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের মুখোমুখি হয়েছিল ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters) দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে…

sachin suresh

গত রবিবার আইএসএলের ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের মুখোমুখি হয়েছিল ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters) দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। তবে এক্ষেত্রে ডায়মান্টাকোস্ট থেকে শুরু করে আদ্রিয়ান লুনার মতো ফুটবলারদের থেকে দলের গোলরক্ষক শচীন সুরেশের (Sachin Suresh) অবদান অনস্বীকার্য।

বলা যায় তার হাত ধরেই অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন পয়েন্ট সুনিশ্চিত করতে পেরেছে ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা। আসলে ডাকাই থেকে শুরু করে ডায়মান্টাকোস্টের গোলে দল এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে একটি পেনাল্টি পেয়ে বসে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেখান থেকে কোনোরকমে ব্যবধান কমাতে সক্ষম থাকেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা। কিন্তু তার এই গোলের পরে ও ম্যাচ শেষে পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব হয়নি ময়দানের এই ফুটবল দলের। যার অন্যতম কারন হল, কেরালা দলের সেই তরুণ গোলরক্ষক।

আসলে ম্যাচের শেষ দিকে ফের একটি পেনাল্টি পেয়ে বসে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেখান থেকে আর গোল করা সম্ভব হয়নি ক্লেটনের পক্ষে। এই শট দুইবার নেওয়া হলেও বারংবার কেরালা দলের তিন কাঠির নীচে কার্যত ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বছর বাইশের গোলরক্ষক শচীন সুরেশ। তার হাতের উপরে ভর করেই এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে একের পর এক ম্যাচে সাফল্য পাচ্ছে কেরালা। গত ম্যাচে ওডিশা এফসির অন্যতম দাপুটে ফরোয়ার্ড দিয়াগো মরিসিওর গোল আটকে দিয়েছিলেন শচীন। তারপর সেই তালিকায় যুক্ত হল ক্লেটনের নাম। উল্লেখ্য, নয়া মরশুমের জন্য প্রভসুখন গীল দল ছেড়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরেই শচীনকে তুলে এনে সুযোগ দেয় কেরালা। তারপর, বাকিটা এখন সকলেই জানে।

পরবর্তীতে জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই তরুণ গোলরক্ষক বলেন, ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের বিরুদ্ধে প্রথমবার খেলেছি। পাশাপাশি ম্যাচ জিতেছি। এতে আমি দারুণ খুশি। এরফলে আমরা লিগ টেবিলের অনেকটাই উপরে উঠে গিয়েছি। নিজেদের এই ফলাফলই ধরে রাখতে চাই। তাছাড়া আমাদের দলের সকল ফুটবলাররাই যথেষ্ট ভালো খেলেছিল। পাশাপাশি দলের কোচের কথামতোই আমরা সমস্ত কিছু করতে পেরেছি। তাতে আমরা সকলেই খুশি। গত তিনটে মরশুমে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারিনি ঠিক, তবে এবার কেরালা ব্লাস্টার্স আমাকে সুযোগ দেয়। যারফলে, আজ এখানে এসেছি। ইভান ভুকোমানোভিচ এখনো পর্যন্ত আমার কেরিয়্যারে অন্যতম সেরা কোচ। আগামীতে এভাবেই নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চাই।