ইস্টবেঙ্গল’কে পাত্তা দিচ্ছেন না জনি কাউকো

দীর্ঘ আড়াই বছর বাদে কলকাতায় ফিরছে চির ঐতিহ্যের ডার্বি ম‍্যাচ, তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেই ম‍্যাচ ঘিরে বর্তমানে উন্মাদনার পারদ পৌঁছেছে পাহাড়ে।সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টির মাঝেও দুই…

দীর্ঘ আড়াই বছর বাদে কলকাতায় ফিরছে চির ঐতিহ্যের ডার্বি ম‍্যাচ, তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেই ম‍্যাচ ঘিরে বর্তমানে উন্মাদনার পারদ পৌঁছেছে পাহাড়ে।সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টির মাঝেও দুই দলের সমর্থক’রা লাইন বৃষ্টি’তে ভিজে টিকিট সংগ্রহ করে প্রমাণ করে দিয়েছে করোনার চোখ রাঙানি পেরিয়ে অবশেষে ডার্বি দেখার জন্যে ঠিক কতোটা ব্যাকুল তারা।

রোববার সমর্থক’দের এই আবেগের দাম দিতে বদ্ধপরিকর দুই বলের ফুটবলাররা, সেই কথা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।চলতি ডুরান্ডের আসরে এখনো অবধি জয়ের মুখ দেখিনি দুই দলের মধ্যে একটিও,তাই রোববার কোন দল জয় পায় নজর থাকবে সেই দিকে।

এটিকে মোহনবাগানের প্রসঙ্গে আসা যাক।হার দিয়ে ডুরান্ড অভিযান শুরু করেছিল সবুজ মেরুন শিবির‌। রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে ম‍্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করতে হয়েছিল মোহনবাগান’কে । এর পরের ম‍্যাচে মুম্বই সিটি এফসির এগিয়ে গিয়েও শেষ অবধি ড্র করায় ডুরান্ডের আসরে এখনও অবধি জয়ের মুখ দেখেনি ফেরান্দোর দল।অঙ্ক বলছে ডার্বি হারলে ডুরান্ড থেকে বিদায় নিশ্চিত, তবুও এই মেগা ম‍্যাচের আগে ফুরফুরে মেজাজ বাগান শিবিরে।

ম‍্যাচে সবুজ মেরুনের অন‍্যতম ভরসা ফিনল‍্যান্ডের হয়ে গেছে ইউরো খেলা জনি কাউকো।দলের মাঝমাঠের অন‍্যতম চালিকা শক্তি তিনি,ডার্বি’তে খেলতে নামার আগে তিনি জানিয়েছেন,এই ঐতিহ্যবাহী ম‍্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি।ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম‍্যাচ দেখা হয়নি তার, প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবতেও চান না।বরং নিজের খেলায় মনোযোগ দেওয়াটাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই ফিনিশ ফুটবলার।