এবছরেরই ২৯ জানুয়ারি। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল ২১ বছরের ছেলেটি। তারপর তার ‘বিখ্যাত’ বাবাকে তার প্রশ্ন ছিল একটাই, ‘ঠিক ছিল’? আজ রবিবার, যুবভারতীতে আবার কলকাতা ডার্বিতে প্রতিপক্ষ সেই ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার রাতে কিয়ান নাসিরির (Kiyan Nassiri) ‘বিখ্যাত’ বাবা জামশেদ নাসিরির (Jamshed Nassiri) সহাস্য মন্তব্য, “ডার্বি নিয়ে কিয়ানের মনে হয় না কোনও টেনশন আছে। একবার খেলেছে তো, গোলও করেছে!” বাবা তার সময়ে ভারতের অন্যতম সেরা বিদেশি স্ট্রাইকার ছিলেন। চিমা ওকোরির পর ভারতে ৭৫টি গোল করা দ্বিতীয় সেরা বিদেশি স্ট্রাইকার। জামশেদের সঙ্গে সাধারণ সময় ফুটবল নিয়ে ছেলের অনেক আলোচনা হয়। কিয়ানের আক্ষেপও আছে, বাবার কোনও মাচের ভিডিও তার দেখা হয়নি। কিন্তু বাবার বন্ধুদের কাছে সে শুনেছে স্ট্রাইকার জামশেদের মহিমার কথা। কিন্তু ডার্বি ম্যাচের আগে? ছেলের সঙ্গে কোনও কথা বলেন না জামশেদ। বললেন, “আমি যখন ডার্বি ম্যাচ খেলেছি, তার আগের দিন মজিদের সঙ্গে সারাদিন গল্প করে কাটাতাম, এমনকী ম্যাচের দিনও সকালে ‘ভারি’ ব্রেকফাস্ট করে ক্লাবে যেতাম, সতীর্থদের সঙ্গে গল্পগুজব করে মনটা হালকা রাখতাম। কিন্তু কিয়ানের সঙ্গে ডার্বির আগের দিন কোনও কথা বলি না।”
আজকের ডার্বি ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন স্ট্রাইকারের বিশ্লেষণ, “জানুয়ারিতে আইএসএলে ডার্বির পর দু’দলের অনেক ফুটবলার, কোচের পরিবর্তন হয়েছে। এখন মরশুমের শুরু। দু’দলই প্রস্তুতি পর্বে রয়েছে। বেশি কিছু আশা করছি না কোনও দলের কাছ থেকে। মানসিক চাপ সামলে যারা খেলতে পারবে তারাই জিতবে। আবার ড্র-ও হতে পারে।”
কিয়াঙ্কে মাঠে নামানো হবে কি না জানেন না, কিন্তু জামশেদের মনে হচ্ছে, যদি কিয়ান খেলে তাহলে নিরাশ করবে না। বললে, “আগের চেয়ে ও অনেক উন্নতি করেছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডিভিশনে খেলার সময় লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিল। তখনকার তুলনায় এখন কিয়ানের খেলায় আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি, বলের ওপর নিয়ন্ত্রণও বেশি। যদিও ওকে আইএসএলের ডার্বিতে উইং ফরওয়ার্ড হিসেবে কোচ খেলিয়েছিলেন, আমার হয়, কিয়ান আমারই মত পুরোপুরি স্ট্রাইকার। বক্সের ওপরই ও বেশি বিপজ্জনক। এখন কোচের ওপর নির্ভর করছে কোথায় কিয়ানকে খেলানো হবে।”