IPL : ২০০-র ওপর রান করেও পাঞ্জাবকে হারাতে পারল না আরসিবি

IPL  : হাইস্কোরিং ম্যাচের আন্দাজ আগেই করা গিয়েছিল। কারণ যুযুধান দুই শিবিরেরই মূল শক্তি লুকিয়ে ব্যাটিংয়ে। তাই অনুমানই সত্যি হল। রবিবার আইপিএলের প্রথম ডাবল হেডারের…

IPL  : হাইস্কোরিং ম্যাচের আন্দাজ আগেই করা গিয়েছিল। কারণ যুযুধান দুই শিবিরেরই মূল শক্তি লুকিয়ে ব্যাটিংয়ে। তাই অনুমানই সত্যি হল। রবিবার আইপিএলের প্রথম ডাবল হেডারের দ্বিতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। হাইস্কোরিং ম্যাচে আরসিবি-কে এক ওভার বাকি থাকতে ৫ উইকেটে হারিয়ে এবারের আইপিএল অভিযান শুরু করল পাঞ্জাব।

দুই দলেরই দায়িত্ব এবার নতুন অধিনায়কের কাঁধে। বিরাট কোহলির হাত থেকে যেমন আরসিবির ব্যাটন তুলে নিয়েছেন প্রাক্তন প্রোটিয়া নেতা ফাফ ডু প্লেসি, ঠিক তেমনই লোকেশ রাহুল চলে যাওয়ায় মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে নতুন অধিনায়ক হিসাবে বেছে নিয়েছে কিংস কর্তৃপক্ষ। টস যুদ্ধে ফাফকে হারিয়ে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মায়াঙ্ক। তবে তাঁর সিদ্ধান্তকে একেবারেই সম্মান দিতে পারেননি দলের বোলিং ডিপার্টমেন্ট।

   

তরুণ তুর্কি অনুজ রাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন ফাফ। শুরুতে অনুজ ব্যাট চালালেও, ফাফ ছিলেন কিছুটা সংযত। কিন্তু অনুজ আউট হতেই টপ গিয়ারে চলে যান দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৫৭ বলে ৮৮ রান করে আউট হওয়ার আগে দলকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখিয়ে দিয়ে যান ফাফ। প্রথম ম্যাচে চেনা মেজাজে দেখা গেল বিরাট কোহলিকে। ২৯ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট। সঙ্গে ১৪ বলে ঝোড়ো ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট খুইয়ে ২০৫ রান তোলে আরসিবি। এবারের প্রথম দল হিসাবে ২০০-র গণ্ডি টপকায় তারা। পাঞ্জাবের সবথেকে সফল বোলার রাহুল চাহার। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নেন তিনি।

জবাবে শুরুটা মন্দ করেনি পাঞ্জাবও। প্রথম থেকে ১০ করে রান রেটে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন মায়াঙ্ক ও শিখর ধাওয়ান। হাসারাঙ্গার বলে মায়াঙ্ক আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে যান। তিন নম্বরে ভানুকা রাজাপাক্ষেও রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। তবে দলকে ১০০-র গণ্ডি টপকে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন গব্বর। ২৯ বলে ৪৩ রান করে যান এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রাজাপাক্ষেকে ফেরান সিরাজ। সাজঘরে যাওয়ার আগে মাত্র ২৩ বলে মারকাটারি ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি লঙ্কান ক্রিকেটার। পরের বলেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার রাজ বাওয়াকে ফেরান সিরাজ।

আইপিএলের অভিষেকটা নিশ্চয় দ্রুত ভুলতে চাইবেন রাজ। আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম ম্যাচেই গোল্ডেন ডাক জুটল তাঁর কপালে। সেইসঙ্গে পঞ্জাবকে পরপর দু’টি ধাক্কা দিয়ে আরসিবিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন মহম্মদ সিরাজ। নিলামে বিশাল অর্থের বিনিময়ে লিয়াম লিভিংস্টোনকে দলে নিয়েছিল পঞ্জাব। কিন্তু প্রথম ম্যাচে বলে-ব্যাটে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ তিনি। ১০ বলে ১৯ রান করে বাংলার পেসার আকাশ দীপের বলে আউট হন তিনি। আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই একটি উইকেট তুলে নেন আকাশ। ১৮তম ওভারে সিরাজের হাতেই বল তুলে দেন ফাফ।

কিন্তু এবার রক্ষকই ভক্ষক হয়ে দাঁড়ান। ২৫ রান দিয়ে ম্যাচটি কার্যত পাঞ্জাবের পকেটে পুরে দিয়ে আসেন তিনি। অবশ্য যে ওডেন স্মিথ সংহার মূর্তি ধারণ করেন, তিনি হর্ষলদের সৌজন্যে দু-দু’বার জীবনদান পান। একবার ক্যাচ, আর একবার সহজ রান আউট মিস করেন হর্ষল। শাহরুখকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নেন স্মিথ। তাও আবার এক ওভার বাকি থাকতে। মাত্র ৮ বলে ২৫ করে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবিয়ান তারকা স্মিথ। ২০ বলে ২৪ করে অপরাজিত থাকেন শাহরুখ।