East Bengal: ফের বৈঠক লাল-হলুদের অন্দরে, দল গঠন নিয়ে বিশেষ বার্তা ইমামিকে

হিরো আইএসএলে নিজেদের প্রথম বছর থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক ছন্দে নেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল(East Bengal) ব্রিগেড। বছর বছর দলের কোচ-খেলোয়াড় উভয়েই বদল আসলেও বদলায়নি দলের পারফরম্যান্স।

East-Bengal-FC East bengla club house

হিরো আইএসএলে নিজেদের প্রথম বছর থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক ছন্দে নেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল(East Bengal) ব্রিগেড। বছর বছর দলের কোচ-খেলোয়াড় উভয়েই বদল আসলেও বদলায়নি দলের পারফরম্যান্স। শুরুর দিকে পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক থাকলেও হতশ্রী পারফরম্যান্স করা যেন স্বভাবে পরিনত হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের।

এবারের আইএসএলে ও সেই একই ছবি। যা দেখতে দেখতে ক্রমশ ধৈর্য হারাতে শুরু করেছে সমর্থকরা। তাই গত আইএসএল মরশুম শেষ হতেই নিজেদের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ক্লাবের সাবেক কর্তারা। ঠিক হয় সুপার কাপের পরেই বদলে ফেলা হবে দলের কোচ। পাশাপাশি নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে গোটা দলকে।

   

যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সুপার কাপ শেষ হওয়ার পর গত মাসের শেষের দিকেই ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কে বিদায় জানিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। পাশাপাশি দল গঠনের দিকে ও নজর দেওয়া হয় ম্যানেজমেন্টের তরফে। এক্ষেত্রে বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা ও ভারতীয় তারকা নাওরেম মহেশ সিং কে রেখে নতুন করে দল গঠনের কথা ভাবা হয় লাল-হলুদের তরফে। তবে এবারের দল গঠনের জন্য কুয়াদ্রাতের উইশ লিস্ট অনুযায়ী ফুটবলার সই করানোর কথা ভাবা হয় দলের তরফে।

পূর্বেই ওডিশা এফসির তারকা ফুটবলার নন্দকুমার শেখরের সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি চেন্নাইন এফসির তরফ থেকে ভান্সপল ও তরুন ফরোয়ার্ড রহিম আলী কে দলে পেতে ও ঝাঁপিয়েছিল কলকাতার এই প্রধান। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কাউকে সই করার কথা জানানো হয়নি দলের তরফে। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

অন্যদিকে পড়শি ক্লাব মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের তরফে একের পর এক খেলোয়াড় কে দলে আনার কথা উঠে আসতে থাকে। এমনকি মরশুম শেষ হতেই হায়দরাবাদ এফসি থেকে রোহিত দানু ও হোলিচরন নার্জারির মতো তারকা কে দলে সই করিয়ে চমক দিতে থাকে বেঙ্গালুরু। পাশাপাশি জার্মান ডিফেন্ডার এনে দল সাজানোর কথাও শোনা যায় চেন্নাইনের তরফ থেকে। যা দেখে অনেকের প্রশ্ন তাহলে কি এবার ও বাজেট সমস্যা থেকে গেলো ইস্টবেঙ্গলের?

এই নিয়েই ফের বৈঠকে বসেন লাল-হলুদের সাবেক কর্তারা। বৈঠক শেষে দলের কর্ম সমিতির তরফে জানানো হয় যে, দলের লগ্নিকারী সংস্থা তথা ইমামি কর্তাদের বার্তা দেওয়া হবে যাতে আগামী মরশুমের জন্য দল গঠনের ক্ষেত্রে বাজেট কোনো রকমের বাঁধা না হয়ে দাঁড়ায়। সেইসাথে ক্লাবের ঐতিহ্য ও পড়শি ক্লাব তথা মোহনবাগানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে যেন দল গঠন করা হয়। তার প্রভাব আগামী মরশুমে আদৌ কতটা পড়ে, এখন সেটাই দেখার।