
এবারের হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) সেমির দ্বিতীয় লেগে মুম্বাইকে পরাজিত করে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু এফসি। আর একটা ম্যাচ মাত্র। ভালো খেলতে পারলেই আরো একবার আইএসএল ট্রফি জেতার স্বাদ পেয়ে যাবেন প্রবীর-সুনীলরা। সেই নিয়েই এখন রীতিমতো ব্যস্ত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)।
অপরদিকে রয়েছে প্রীতম কোটালের এটিকে মোহনবাগান। পূর্বে এটিকের হয়ে আইএসএল জয়ের স্বাদ পেলেও সবুজ-মেরুন জার্সিতে জয়ের সেই সাফল্য এখনো অধরা। এবার সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান বাগানের এই ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার। তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে কোচ ফেরেন্দোর নির্দেশ মতো দলের সাথে অনুশীলন করছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই, ভালো খেলতে হবে জিততে হবে। দলকে ট্রফি দিতে হবে। একই ছবি বেঙ্গালুরু শিবিরে। তবে আইএসএলে এটাই কি শেষ মরশুম সুনীলের?
এখন এই প্রশ্ন রীতিমতো ঘোরাফেরা করছে ভারতীয় ফুটবল মহলে। যার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন খোদ ভারতীয় দলের বর্তমান কোচ ইগর স্টিমাচ। বর্তমানে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েব সাইটে ভারতীয় দলের কোচ বলেন, এই বয়সে সবাই ফুটবলকে বিদায় জানানোর কথাই ভাবে। আমার মনে হয়েছে, সুনীল ও সম্ভবত জীবনের শেষ ফুটবল মরশুম খেলছে। যা শুনে একরাশ হতাশা তৈরি হয়েছে ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।
অনেক বলছেন, সেই কারণেই হয়ত এবার আইএসএল ঘরে তুলতে মরিয়া সাইমনের বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। তাদের লক্ষ্য ট্রফি জিতে শহরে ফেরা। দিনকয়েক আগেই ফাইনালে ওঠার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রীতম বলেছিলেন, ১৮ তারিখ জিতে ১৯ তারিখ ট্রফি নিয়ে কলকাতায় ফিরব। এবার সেই কথা রাখার লক্ষ্যে সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। অপরদিকে ৩৮ বছর বয়সে এসে ও শক্ত হাতে বেঙ্গালুরুর হাল ধরে রেখেছেন সুনীল। এককথায় আইএসএল ট্রফি জেতাই তার মিশন।