আফগানদের শারীরিক সক্ষমতা বেশি, তাহলে কী করে হারাবে ভারত? উপায় বাতলে দিলেন স্টিমাচ

কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে অভিযান শুরু করেছে ভারত। ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আজ মেন ইন ব্লুর সামনে আফগানিস্তান। প্রথম…

ATK Mohun Bagan

কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে অভিযান শুরু করেছে ভারত। ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আজ মেন ইন ব্লুর সামনে আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের কাছে হেরে যাওয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া হয়ে উঠবেন আফগানরা। নিজেদের শারীরিক সক্ষমতা ও ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই ম্যাচে ভারতকে তারা কোণঠাসা করার চেষ্টা করবেই। 

এদিকে, ভারতীয় দলের সাজঘরে এখন আত্মবিশ্বাসের বাতাবরণ। তবে আফগানদের হারানো যে মোটেও সহজ হবে না, তা মেনে নিচ্ছেন ইগর স্টিমাচ। তিনি বলেন, ‍‘ড্রেসিংরুমে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অবশ্যই সাহায্য করেছে ওই তিন পয়েন্ট। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমরা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। সে সবের পর জয় দিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরুই করতে চেয়েছিলাম। সেটাই করতে পেরে এখন আমাদের সাজঘরের অসাধারণ। খুবই ইতিবাচক। আগেও এমনই ছিল। তবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট না পেলে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্টও অর্থহীন হয়ে যাবে। প্রতি ম্যাচেই শূন্য থেকে শুরু করি আমরা। তাই সোজা কথাটা হল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে আমাদের।’

কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ প্রসঙ্গে ক্রোয়েশিয়ান কোচ বলেন, ‍‘কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটা আপনারা সহজ ছিল বলছেন। কারণ, সেই ম্যাচে আমরা ভাল খেলেছি। ভাল না খেললে এই ম্যাচটাকেই কঠিন মনে হত। অবশ্যই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটা অন্য রকম হবে। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ওদের ম্যাচটা দেখলে বুঝবেন, অনেক ভাল ভাল মুভমেন্ট, পাসিং, জায়গা বদল, বক্সের মধ্যে ক্রস হয়েছে। অফগানিস্তান উড়ে আসা বল দখলে যেমন ভাল, তেমনই আক্রমণেও দুরন্ত। এগুলোই আমাদের সামলাতে হবে। আমাদের মনসংযোগ, শেপ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। দ্রুত আক্রমণে উঠতে হবে। বল পজেশন বেশি রাখতে হবে।’ গোলের জন্য ভারতের ভরসা সেই সুনীল ছেত্রীই। ঘুরে-ফিরে আবারও উঠল সেই প্রসঙ্গ। আর টিম ইন্ডিয়ার হেডস্যার কোনও রাখঢাক না করে বলেই দিলেন, ‍‘এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। সুনীল যখন দলে রয়েছে তখন ও ছাড়া অন্য কেউ গোল করল কি না, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। ও যখন দলে থাকবে না, তখন অন্যেরা গোল করবে। কিন্তু প্রতি ম্যাচে একজনই দুটো করে গোল করে যাবে, সেটাও আশা করা ঠিক নয়।’

আফাগানিস্তানের ফুটবলাররা শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে এগিয়ে, এটা বেশ ভালো জানেন কোচ স্টিমাচ। তাই ওদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনাও ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। বললেন, ‍‘ঠিক জায়গায় থাকতে হবে সকলকে, ভাল গেমরিডিং প্রয়োজন। শেপ ঠিকমতো আঁটোসাঁটো রাখতে হবে। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে। এই ম্যাচে সব ডুয়েলে হয়তো আমরা ওদের সঙ্গে পেরে উঠব না। সে জন্যই শারীরিক দিক থেকে ওরা এগিয়ে।

কিন্তু আমাদের অনেক ধূর্ত হতে হবে। বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‍‘আফগানিস্তান জেতার জন্যই মাঠে নামবে। ওদের ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওরা যেখানে খেলে, সেখানকার ফুটবলের মান আইএসএলের চেয়ে ভাল। সে জন্যই ওদের ছেলেরা মাঠে নেমে কিছুটা ঔদ্ধত্য দেখায়। সেটা মেনে নিতেই হবে। এর মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। তবে আমাদের সে সব সামলানোর জন্য তৈরি থাকতে হবে। বল দখলের লড়াইয়ে জেতার জন্য তৈরি থাকতে হবে। ওদের পিছনে বেশি না দৌড়ে ওদের অনেক বেশি দৌড় করাতে হবে। আমাদের বল দখলে রেখে খেলা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। ম্যাচের রাশ আমাদের হাতেই রাখতে হবে।’