ভারতের জেতা উইকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ICC

কেপটাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচটি শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১০৭ ওভারেই শেষ হয়ে যায়…

ICC Issues Demerit Points to Newlands Pitch

কেপটাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচটি শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১০৭ ওভারেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচটি। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এটাই ছিল সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত টেস্ট ম্যাচ। এই পিচে বোলারদের আধিপত্য ছিল। এবার সেই ম্যাচের পিচ নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি (ICC)।

এই মাঠটিও ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে। কেপটাউন টেস্ট ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড ম্যাচ শেষে আইসিসির কাছে তার প্রতিবেদন জমা দেন। তিনি পিচটিকে “অসন্তোষজনক” বলে বর্ণনা করেছেন। এরপর এই পিচটি আইসিসির ডিমেরিট পয়েন্টও পায়। ব্রড তার প্রতিবেদনে বলেন, ‘নিউল্যান্ডসের পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই কঠিন ছিল। এখানে বল বেশ বাউন্সি হচ্ছিল এবং এর কারণে পুরো ম্যাচ জুড়ে ব্যাটসম্যানদের খেলা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এ সময় বল অনেক ব্যাটসম্যানের গ্লাভসে আঘাত করে এবং হঠাৎ বাউন্সের কারণে অনেকে আউটও হন।’

আইসিসি এই পিচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে। আইসিসি কর্তৃক ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ার জন্য আলাদা নিয়ম রয়েছে। ম্যাচ রেফারি যদি কোনও পিচকে “অসন্তোষজনক” বা গড়ের চেয়েও কম বলে চিহ্নিত করেন তবে ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। এ কারণে মাত্র ৬৪২ বলে শেষ হওয়া কেপটাউন টেস্টের পিচের জন্যও এই পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি।

আইসিসি কর্তৃক একটি মাঠকে দেওয়া মোট ডিমেরিট পয়েন্টের সংখ্যা যদি ৬-এ পৌঁছায়, তাহলে সেই মাঠটি ১২ মাস অর্থাৎ এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পায়। অন্যদিকে ওই মাঠের ডিমেরিট পয়েন্ট যদি ১২-এ পৌঁছায়, তাহলে তা ২৪ মাস অর্থাৎ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারে। আইসিসি প্রদত্ত এই ডিমেরিট পয়েন্টের মেয়াদ ৫ বছর। অর্থাৎ কেপটাউনের পিচ যদি ৫ বছরে মোট ৬ বা ১২টি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তাহলে নিষিদ্ধ হতে পারে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আপিল করার জন্য এখন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৪ দিন সময় রয়েছে।