Special Story: বিশ্বের দরবারে দু’বার পা ভাঙা সৈকতের সাইডভলি

এরিয়ান ক্লাবের সৈকত সরকার (Saikat Sarkar)। কাস্টমসের বিরুদ্ধে করা সৈকতের গোল ফুটবল প্রেমীদের চোখে লেগে থাকবে দীর্ঘ দিন। কি গোলটাই না করল ছেলেটা! নিশ্চয় মনে মনে বলে উঠেছিলেন দর্শকরা। এই গোল করে সৈকত নিজেও দারুণ উচ্ছ্বসিত।

Bengal Footballer Saikat Sarkar'

Special Story: এবারের কলকাতা ফুটবল লীগ হচ্ছে বিদেশি ফুটবলার বিহীন। আরও বেশি করে সুযোগ পাচ্ছেন বাংলা সহ দেশের ফুটবলাররা। এই কলকাতা ফুটবল লীগ অতীতে জন্ম দিয়েছে বহু তারকার। আরও এক তারকা হয়তো জানান নিয়ে রাখলেন নিজের আগমনের। তিনি এরিয়ান ক্লাবের সৈকত সরকার (Saikat Sarkar)। কাস্টমসের বিরুদ্ধে করা সৈকতের গোল ফুটবল প্রেমীদের চোখে লেগে থাকবে দীর্ঘ দিন। কি গোলটাই না করল ছেলেটা! নিশ্চয় মনে মনে বলে উঠেছিলেন দর্শকরা। এই গোল করে সৈকত নিজেও দারুণ উচ্ছ্বসিত।

কী করে সম্ভব হল এই গোল? সৈকত জানালেন, “ম্যাচে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। দলের প্রত্যেকে গোল শোধ করার জন্য মরীয়া ছিল। ওই ফ্রি কিকটা আমাদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। যেনতেন প্রকারে গোল করাই ছিল লক্ষ্য। বল আমাদের দিকে আসতে দেখে সাইড ভলি নিলাম সঙ্গে সঙ্গে। গোলটা যে হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। খুব ভালো লাগছে।” এই ধরণের গোল করার জন্য দরকার টেকনিক এবং প্রচুর প্র্যাকটিস। সৈকতের সেই প্র্যাকটিস রয়েছে। সৈকত জানিয়েছেন, অনুশীলন করার সময় ভলি মারার চেষ্টা করেন প্রায়ই। এই গোল হয়তো তারই ফসল।

কল্যাণীর কাঁঠালতলার স্থানীয় মাঠ থেকে শুরু হয়েছিল পথ চলে। ক্রমে নিজের প্রতিভার জোরে একাধিক ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন সৈকত সরকার। ২০১৭ সালে ছিলেন বালি প্রতিভা ক্লাবে। সেখানে থেকে যোগ দিয়েছেন যথাক্রমে খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাব, রেনবোতে। ২০২০-২১ মরসুমে সই করেছিলেন রিয়াল কাশ্মীরের হয়ে। পরে ক্যালকাটা কাস্টমস এবং এখন এরিয়ান ক্লাবে।

এতটা পথ নিশ্চই কঠিন ছিল? তেমনটা মনে করছেন না ২৬ বছর বয়সী সৈকত সরকার। বরং এই উত্থানের জন্য সমস্ত কৃতিত্ব দিয়েছেন পরিবার এবং কাছের মানুষদের। ” পরিবার সব সময় পাশে ছিল, তাই স্ট্রাগল বলতে যা বোঝায় সেটা আমি করিনি “, অকপটে বলেছেন সৈকত।

এরই মধ্যে দু’বার পা ভেঙেছেন। সেখান থেকে রিকভারি করে ফিরেছেন মাঠে। প্রতিপক্ষের বক্সের মাথা থেকে সাইড ভলিতে করা তার গোল ফিফার কাছে পাঠিয়েছে বঙ্গীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। “IFA-কে। IFA না থাকলে আমার এই গোল ফিফার কাছে পৌঁছতে পারতো না। আমি সত্যি কৃতজ্ঞ।”