Juan Ferrando: এফসি কাপে সমর্থকদের হতাশ করব না, জানিয়ে দিলেন বাগান কোচ

মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এএফসি কাপের ম্যাচে ব্লু স্টারের মুখোমুখি হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। তবে ম্যাচের পর বাগান সমর্থকদের যে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরতে হবে না,…

juan ferrando

মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এএফসি কাপের ম্যাচে ব্লু স্টারের মুখোমুখি হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। তবে ম্যাচের পর বাগান সমর্থকদের যে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরতে হবে না, সে রকমই আশ্বাস দিয়েছেন সবুজ-মেরুন শিবিরের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando)।

বিপক্ষ ব্লু স্টারের গত ম্যাচের ভিডিও দেখে দলটা সম্পর্কে যে রকম হোমওয়ার্ক করেছেন তিনি, তাতে এটা স্পষ্ট যে, দলটাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।
হিরো আইএসএল ৮-এর মাঝপথে কলকাতার দলে যোগ দেওয়া ফেরান্দো বলেছেন, “এই ম্যাচে গ্যালারিতে আমাদের সমর্থকেরা থাকবেন। তাদের সমর্থন আমাদের খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করবে। কথা দিচ্ছি, ওদের নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে না। আমাদের দলের খেলা দেখে ফুটবলের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন”। এটিকে মোহনবাগান মিডিয়াকে কথাগুলি বলেন ফেরান্দো।

   

গত মঙ্গলবার ব্লু স্টার ও নেপালের মাচিন্দ্রার মধ্যে ম্যাচের ভিডিও খুঁটিয়ে দেখেছেন সবুজ-মেরুন কোচ। সেই ম্যাচে ২-১-এ জেতে ব্লু স্টার। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ২৮ মিনিটের মধ্যে দু’গোলে এগিয়ে যায় ব্লু স্টার। ম্যাচের একেবারে শেষে স্টপেজ টাইমে একটি গোল শোধ করে মাচিন্দ্রা। ব্লু স্টারের আব্দুল ইহসান ও স্নেহাল সন্দেশ গোল করেন। মাচিন্দ্রার স্কোরার ছিলেন সুজল শ্রেষ্ঠা।

এই ম্যাচের রেকর্ডিং দেখার পরে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ফেরান্দোর প্রতিক্রিয়া, “ওদের খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই। দলটার পাসিং খুব ভাল। মাঝে মধ্যে প্রেসিং ফুটবল খেলে। কিছুক্ষণ ধীরগতির ফুটবল খেলতে খেলতে হঠাৎই আক্রমণে ওঠে। আর তাতেই বিপক্ষের গোলের মুখ খুলে যায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, খেলাটা ৯০ মিনিটের। এই সময়ের মধ্যেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। গত ম্যাচে শেষ দশ মিনিট অবশ্য ব্লু স্টার তেমন ভাল খেলেনি। তাতে অনেকেই হয়তো ভাবছেন ওরা তেমন ভাল দল নয়। আমি তা মানতে রাজি নই। দু’গোল হয়ে যাওয়ার পর সম্ভবত পরের ম্যাচের কথা ভেবে ওরা নিজেদের উজাড় করে দিতে চায়নি”।

শ্রীলঙ্কার দলের লং বল খেলার প্রবণতা নিয়ে ফেরান্দো বলেন, “বিপক্ষের রক্ষণের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠানোর একটা চেষ্টা ওরা সব সময়ই করে ওরা। ওদের সেন্টার ব্যাক চামারার খেলা অনেকটা আমাদের কার্ল ম্যাকহিউয়ের মতো। রক্ষণেও যেমন ভাল, তেমন সঠিক পাস বাড়ানোতেও দক্ষ। মনে রাখতে হবে, একটা দেশের সেরা ক্লাব খেলেতে আসছে। তাদের সমীহ করতেই হবে। আমরা সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েই নামব”।

বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বুঝে নিয়েই এ বার সেই অনুযায়ী দলের প্রস্তুতি শুরু করেছেন স্প্যানিশ কোচ, যাঁর প্রশিক্ষণে এফসি গোয়া গত মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে অভাবনীয় ফুটবল খেলে তাদের চেয়ে শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল। গ্রুপে তিন নম্বর স্থান পেয়েছিল গোয়ার দলটি। এ বার এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানকে তিনি কোন পথে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তা জানতে চাইলে ফেরান্দো বলেন, “আমি ম্যাচ ধরে ধরে এগনোয় বিশ্বাসী। এখন আমার মাথায় ঘুরছে শুধুই ব্লু স্টার ম্যাচের নব্বই মিনিট। এই ম্যাচে সাফল্য পেতেই হবে”।
ব্লু স্টারকে হারাতে পারলে ১৯ এপ্রিল এটিকে মোহনবাগানকে খেলতে হবে দক্ষিণ এশীয় প্লে অফে। সেই ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড। এই প্লে অফে খেলতে আবাহনীকে ১২ এপ্রিল সিলেটে মলদ্বীপের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে হারাতে হবে।

১৯ এপ্রিলের ম্যাচে জিততে পারলে এটিকে মোহনবাগান জায়গা পাবে মূলপর্বের ‘ডি’ গ্রুপে, যেখানে উঠে বসে রয়েছে গোকুলাম কেরালা, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি। গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচগুলি হওয়ার কথা ১৮ মে থেকে। একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার পরে গ্রুপের এক নম্বর দল ইন্টার জোন প্লে অফ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গত বারও এই স্তর মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এএফসি কাপের ম্যাচের পর এটিকে মোহনবাগান সমর্থকদের যে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরতে হবে না, সে রকমই আশ্বাস দিয়েছেন সবুজ-মেরুন শিবিরের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো। বিপক্ষ ব্লু স্টারের গত ম্যাচের ভিডিও দেখে দলটা সম্পর্কে যে রকম হোমওয়ার্ক করেছেন তিনি, তাতে এটা স্পষ্ট যে, দলটাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।

হিরো আইএসএল ৮-এর মাঝপথে কলকাতার দলে যোগ দেওয়া ফেরান্দো বলেছেন, “এই ম্যাচে গ্যালারিতে আমাদের সমর্থকেরা থাকবেন। তাদের সমর্থন আমাদের খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করবে। কথা দিচ্ছি, ওদের নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে না। আমাদের দলের খেলা দেখে ফুটবলের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন”। এটিকে মোহনবাগান মিডিয়াকে কথাগুলি বলেন ফেরান্দো।

গত মঙ্গলবার ব্লু স্টার ও নেপালের মাচিন্দ্রার মধ্যে ম্যাচের ভিডিও খুঁটিয়ে দেখেছেন সবুজ-মেরুন কোচ। সেই ম্যাচে ২-১-এ জেতে ব্লু স্টার। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ২৮ মিনিটের মধ্যে দু’গোলে এগিয়ে যায় ব্লু স্টার। ম্যাচের একেবারে শেষে স্টপেজ টাইমে একটি গোল শোধ করে মাচিন্দ্রা। ব্লু স্টারের আব্দুল ইহসান ও স্নেহাল সন্দেশ গোল করেন। মাচিন্দ্রার স্কোরার ছিলেন সুজল শ্রেষ্ঠা।

এই ম্যাচের রেকর্ডিং দেখার পরে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ফেরান্দোর প্রতিক্রিয়া, “ওদের খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই। দলটার পাসিং খুব ভাল। মাঝে মধ্যে প্রেসিং ফুটবল খেলে। কিছুক্ষণ ধীরগতির ফুটবল খেলতে খেলতে হঠাৎই আক্রমণে ওঠে। আর তাতেই বিপক্ষের গোলের মুখ খুলে যায়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, খেলাটা ৯০ মিনিটের। এই সময়ের মধ্যেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। গত ম্যাচে শেষ দশ মিনিট অবশ্য ব্লু স্টার তেমন ভাল খেলেনি। তাতে অনেকেই হয়তো ভাবছেন ওরা তেমন ভাল দল নয়। আমি তা মানতে রাজি নই। দু’গোল হয়ে যাওয়ার পর সম্ভবত পরের ম্যাচের কথা ভেবে ওরা নিজেদের উজাড় করে দিতে চায়নি”।

শ্রীলঙ্কার দলের লং বল খেলার প্রবণতা নিয়ে ফেরান্দো বলেন, “বিপক্ষের রক্ষণের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠানোর একটা চেষ্টা ওরা সব সময়ই করে ওরা। ওদের সেন্টার ব্যাক চামারার খেলা অনেকটা আমাদের কার্ল ম্যাকহিউয়ের মতো। রক্ষণেও যেমন ভাল, তেমন সঠিক পাস বাড়ানোতেও দক্ষ। মনে রাখতে হবে, একটা দেশের সেরা ক্লাব খেলেতে আসছে। তাদের সমীহ করতেই হবে। আমরা সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েই নামব”।

বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বুঝে নিয়েই এ বার সেই অনুযায়ী দলের প্রস্তুতি শুরু করেছেন স্প্যানিশ কোচ, যাঁর প্রশিক্ষণে এফসি গোয়া গত মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে অভাবনীয় ফুটবল খেলে তাদের চেয়ে শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল। গ্রুপে তিন নম্বর স্থান পেয়েছিল গোয়ার দলটি। এ বার এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানকে তিনি কোন পথে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তা জানতে চাইলে ফেরান্দো বলেন, “আমি ম্যাচ ধরে ধরে এগনোয় বিশ্বাসী। এখন আমার মাথায় ঘুরছে শুধুই ব্লু স্টার ম্যাচের নব্বই মিনিট। এই ম্যাচে সাফল্য পেতেই হবে”।

ব্লু স্টারকে হারাতে পারলে ১৯ এপ্রিল এটিকে মোহনবাগানকে খেলতে হবে দক্ষিণ এশীয় প্লে অফে। সেই ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড। এই প্লে অফে খেলতে আবাহনীকে ১২ এপ্রিল সিলেটে মলদ্বীপের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে হারাতে হবে।

১৯ এপ্রিলের ম্যাচে জিততে পারলে এটিকে মোহনবাগান জায়গা পাবে মূলপর্বের ‘ডি’ গ্রুপে, যেখানে উঠে বসে রয়েছে গোকুলাম কেরালা, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি। গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচগুলি হওয়ার কথা ১৮ মে থেকে। একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার পরে গ্রুপের এক নম্বর দল ইন্টার জোন প্লে অফ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গত বারও এই স্তর পর্যন্ত উঠেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সফল হতে পারেনি।পর্যন্ত উঠেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সফল হতে পারেনি।