AFCON : স্বজন হারানোর কান্নায় শেষ হল ম্যাচ, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ৬ জনের

ফুটবল ইতিহাসে ফের ট্রাজেডি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ৬ ফুটবল সমর্থকের। আহত অন্তত ৪০ জন। ঘটনাটি ক্যামেরুনের। জাতীয় দলের ম্যাচকে (AFCON) কেন্দ্রকে লাগামহীন উত্তেজনা ছড়িয়েছে…

AFCON

ফুটবল ইতিহাসে ফের ট্রাজেডি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ৬ ফুটবল সমর্থকের। আহত অন্তত ৪০ জন। ঘটনাটি ক্যামেরুনের। জাতীয় দলের ম্যাচকে (AFCON) কেন্দ্রকে লাগামহীন উত্তেজনা ছড়িয়েছে সমর্থকদের মধ্যে।

আফ্রিকার সর্বোচ্চ ফুটবল টুর্নামেন্টের মূল পর্বে প্রবেশ করেছে ক্যামেরুন (Cameron)। ঘরের মাঠেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কোমোরসকে ২-১ গোলে পরাস্ত করেছে তারা। স্টেডিয়াম জুড়ে স্বভাবতই খুশির স্ত্রোত। স্টেডিয়ামের বাইরেও। হাসি থাকল না বেশিক্ষণ। হুড়োহুড়িতে পায়ের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হল ছ’জন ফুটবল সমর্থকের। আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ক্যামেরুন ফুটবল কর্তৃপক্ষ।

খেলা চলছি ইয়াওনডে ওলেম্বে স্টেডিয়ামে। করোনার কারণে কমানো হয়েছিল দর্শক আসনের সংখ্যা। তবুও ম্যাচের গুরুত্ব বুঝে ছাড় দেওয়া হয়েছিল অনেকটাই। সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা বা ক্যাপাসিটি ৬০ হাজারের মধ্যে ৬০ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকলেও জাতীয় দলের ম্যাচের জন্য এই সীমা ৮০ শতাংশ করা হয়েছিল। ম্যাচকে কেন্দ্র করে দর্শকদের উন্মাদনা এতোটাই বেশি ছিল যে প্রত্যেকেই যেনতেন প্রকারে ঢুকতে চাইছিলেন গ্যালারিতে।

ক্যামেরুনের জাতীয় ম সম্প্রচারক সিআরটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ওলেম্বে স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে প্রবল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল।” এর ফলে “অর্ধ ডজন লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন”।

আফ্রিকার সর্বোচ্চ এই টুর্নামেন্ট পরিচালনাকারী কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবলের পক্ষ থেকে বল হয়েছে যে তারা বিষয়টি তদন্ত করছে এবং কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।

২০১৫ সালে কায়রোয় হাজার হাজার ফুটবল প্রেমী মিশরের রাজধানীর একটি স্টেডিয়ামে খেলা দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। স্টেডিয়ামের বাইরে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়েছিল কার্যত। পরিস্থিতি সামাক দিতে কাঁদানে গ্যাস ও শূন্যে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। বিশৃঙ্খলার ফলে ৪০ জন লোক মারা গিয়েছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন বহু।

২০০১ সালে জোহানেসবার্গের এলিস পার্ক স্টেডিয়ামে অরল্যান্ডো পাইরেটস এবং কাইজার চিফসের মধ্যে একটি খেলা চলাকালীন ৪৩ জন সমর্থকের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে লিভারপুলের হিলস বোরো স্টেডিয়ামে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৯৬ জন।