I-League: বেনির গোলে ট্রফি হাতছাড়া মহামেডানের

সব আয়োজন তৈরি ছিল। এমনকি এই ম্যাচটা জিতলে কিভাবে আইলিগ (I-League) চ্যাম্পিয়ন সেলিব্রেশন হবে তাও পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু অল্পের জন্যই তীরে এসে তরী ডুবল…

I-League Gokulam Kerala

সব আয়োজন তৈরি ছিল। এমনকি এই ম্যাচটা জিতলে কিভাবে আইলিগ (I-League) চ্যাম্পিয়ন সেলিব্রেশন হবে তাও পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু অল্পের জন্যই তীরে এসে তরী ডুবল মহমেডানের। মা স্ট উইন ম্যাচে গোকুলাম কেরালার কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। একই সঙ্গে এবারের মতন আইলিগ জয়ের স্বপ্ন ভগ্ন হল সাদাকালো সমর্থকদের।

এই ম্যাচটা জেতার জন্য গোটা দলকে চার্জড করেছিলেন সাদাকালো কোচ চের্নিসভ। প্রথম থেকেই যারজন্য কোচের নির্দেশেই অলআউট অ্যাটাকিংয়ে গিয়েছিল মহমেডান। প্রথমার্ধ যদি দেখা যায় তাহলে মহমেডান স্ট্রাইকার মার্কোস জোশেপকে আটকাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে গোকুলাম ডিফেন্সকে। বেশ কয়েকবার বিপক্ষ গোলকিপারের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন মার্কোস। কিন্তু গোল করতে পারেন নি প্রথমার্ধে। বিশেষ করে ম্যাচের সাতাশ মিনিটে ডানদিক থেকে রহমানের একটি ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে হেড করতে পারলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেত মহমেডান। ওই ভাসানো ক্রসে মাথা লাগাতে পারেন নি মার্কোস। প্রথমার্ধ মার্কোস বেশ চাপে রেখেছিল গোকুলাম ডিফেন্সকে।

i-leage-Gokulam Kerala 2-1 Mohammedan SC

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আরও আক্রমনের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে মহমেডান ফুটবলাররা। কিন্তু অল আউট গেলে রি অ্যাটাকের সম্ভবনা থাকে অনেকাংশে। সেই হাফ চান্স থেকেই দু টো গোল তুলে নিয়ে ট্ৰফি এবারও কেরালায় নিয়ে গেল কেরালার দলটি। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে একটি থ্রু থেকে বল ধরে টপ বক্সের ওপর থেকে সেকেন্ড পোস্টে নিঁখুদ গড়ানো শটে গোল করে গেলেন রশিদ। এখানেই কিন্তু ম্যাচটা শেষ হয়ে যায়নি। গোল খেয়ে আরও চার্জড হয়ে গিযেছিল সাদাকালো ফুটবলাররা।

এই সময় মহমেডান কোচ চের্নিসভ দুটি গুরুত্বপূর্ন পরিবর্তন আনেন। আজাহারউদ্দিন মল্লিক ও ফইজল আলিকে নামান মহম্মদ ফৈজাল ও ব্রেন্ডনের পরিবর্তে। এখানেই মনেহয় কিছুটা ক্লিক করে তার পরিকল্পনা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে একটি ফ্রিকিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় আনেন মার্কোস। কিন্তু এই সমতা খুব বেশীক্ষন থাকেনি। ম্যাচের ৬১ মিনিটে এমিল বিনি প্রথম গোলের মতনই রিঅ্যাটাকে গোল করে দলকে ফের এগিয়ে দেন। এই ম্যাচে এই দুটো গোল আটকানো উচিৎ ছিল সাদাকালো রক্ষণের। এরপরও বেশ কয়েকটি চান্স পেয়েছিল মার্কোস, আজাহারউদ্দিনরা। কিন্তু তারা হাফ চান্সকে কাজে লাগিয়ে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দিতে পারেন নি।

দ্বিতীয়ার্ধে কলকাতায় খেলে যাওয়া গোকুলাম গোলকিপার রক্ষিত ডাগর দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিলেন। নয়ত মহমেডানের ভাগ্যে লেখা হতে পারত এই চ্যাম্পিয়ান শব্দটা। কিন্তু রক্ষিত ডাগরকে টপকে গোল করতে পারেন নি আজাহারউদ্দিনরা। এদিন মহমেডানকে সমর্থন করতে বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল -মোহনবাগান সমর্থক মাঠে হাজির ছিল।  গত বছরও আইলিগ জিতেছিল গোকুলাম কেরালা। এই নিয়ে পরপর দু মরসুম টানা আইলিগ জিতল তারা। এই ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দলের হেড কোচ ইগর স্টিমাচ।