সেই ১৯৭৭ সালেই ত্রিমুকুট জয় করে দেখিয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। প্রতি ফাইনালে গোল করেছিলেন শ্যাম থাপা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিয়েছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। এই সময়ে ইস্টবেঙ্গলকে একাধিকবার হারিয়েছিল মোহনবাগান। এই প্রথমবার মোহনবাগান একই মরসুমে আইএফএ শিল্ড, ডুরান্ড কাপ এবং রোভার্স কাপ জিতেছিল।
মরসুমের শুরুটা ইতিবাচকভাবে করতে পারেনি মোহনবাগান। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ভারতীয় টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে এবং পরবর্তীকালে কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ডার্বিতে পরাজিত হয়েছিল। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দল। ২৯ সেপ্টেম্বর আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান। শ্যাম থাপার দুর্দান্ত গোলের সৌজন্যে ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় মেরিনার্স।হাবিবের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেছিলেন থাপা।
শিল্ড জয়ের পর রোভার্স কাপ শেফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন ইস্টবেঙ্গল থেকে বাগানে যোগ দেওয়া থাপা। ডান প্রান্তে মানস ভট্টাচার্য দারুণ খেলেছিলেন সে দিন। উভয় গোলের পিছনে মূল কারিগর ছিলেন তিনি। অধিনায়ক সুব্রত ভট্টাচার্য বাগান দুর্গ আগলে রেখেছিলেন। ফাইনাল ম্যাচেও থাপা গোল করেছিলেন। টাটা স্পোর্টিংকে হারিয়ে রোভার্স কাপ জিতেছিল মোহনবাগান।
এবার ডুরান্ড কাপ। সেমিফাইনালে টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩-১ গোলে হারায় বাগান। দুটি গোল করেন আকবর, শ্যাম থাপার একটি গোল। ফাইনালে প্রতিপক্ষ জেসিটি। স্কোরলাইন ১-১ হওয়ার পর আরও একবার খেলানো হয় ম্যাচ। বাগানের হয়ে এই ম্যাচেও থাপা গোল করেছিলেন।
পরের দিনেও তুমুল হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ। এগিয়ে গিয়েছিল জেসিটি। মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান সুভাষ ভৌমিক। এরপর আকবার গোল করে মোহনবাগানকে এনে দেন মরসুমের তৃতীয় মুকুট।