ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নজির গড়লেন মহামেডান-মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার

মনে রাখার মতো হয়নি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ইন্ডিয়ান সুপার লীগের দশম সংস্করণের প্রথম ম্যাচ। খাতায় কলমে ভালো দল গড়ার পরেও পারফরম্যান্স দেখে আঁতকে উঠছেন ক্লাব…

Imran Khan jamshedpur FC

মনে রাখার মতো হয়নি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ইন্ডিয়ান সুপার লীগের দশম সংস্করণের প্রথম ম্যাচ। খাতায় কলমে ভালো দল গড়ার পরেও পারফরম্যান্স দেখে আঁতকে উঠছেন ক্লাব সমর্থকরা। বরং জামশেদপুর এফসির একাধিক ফুটবলার সোমবারের ম্যাচে ফুটবল প্রেমীদের নজর কেড়েছেন।

বিরতির আগে প্রতিপক্ষ জামশেদপুর ফুটবল ক্লাবকে একাধিকবার বাগে পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আপ ফ্রন্টে ফর্মে থাকা কোনো ফরোয়ার্ড থাকলে নিশ্চিত ছিল একাধিক গোল। গোল না হওয়ার পিছনে যেমন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের ব্যর্থতা রয়েছে, তেমনই দক্ষতা রয়েছে জামশেদপুর এফসির খেলোয়াড়দের। রক্ষণভাগে এবং মাঝ মাঠে লাল হলুদ ব্রিগেডের খেলা বানচাল করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল তারা। ইস্পাত নগরীর ক্লাব যে তাদের কাজে সফল হয়েছে সেটা স্কোরলাইন থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কোনো দলই গোল করতে পারেনি।

জামশেদপুর এফসির হয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নজর কেড়েছেন ইমরান খান। কলকাতা ময়দানের খুবই পরিচিত মুখ ইমরান। কলকাতার ক্লাব থেকে খেলে উঠে এসেছিলেন ভারতীয় ফুটবল আঙিনায়। মণিপুরের এই ফুটবলার লাল হলুদ ফুটবলারদের বেশ বিব্রত করেছেন ম্যাচে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলার দক্ষতা থাকলেও লাল হলুদের বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়েছেন নিজের ডিফেন্সিভ স্কিল। তাতেই অনেকটা কাজ হয়েছে।

ম্যাচের পর প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইমরান খান রেকর্ড সংখ্যক ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েছেন। বলা হচ্ছে পজিশন নিজেদের দখলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আইএসএল ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সেরা পারফরম্যান্স। মোট দশবার নিজের দলের জন্য ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কাছ থেকে পজিশন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।