Aadhar Fraud: ঘরে ঘরে রোজগার! বিহার-বাংলাদেশের মাঝে আধার জালিয়াতির ঘাঁটি চোপড়া

আধার জালিয়াতির (Aadhar Fraud) বড় চক্রের পর্দাফাঁস। ঘরে ঘরে টাকা লুটের ‘কারবার’, অত্যাধুনিক মেশিন-সরঞ্জাম নিয়ে বসে হ্যাকাররা! চোপড়ার গ্রামে গ্রামে প্ৰতারণার পাঠশালা। ঘরের পাশেই বসে…

আধার জালিয়াতির (Aadhar Fraud) বড় চক্রের পর্দাফাঁস। ঘরে ঘরে টাকা লুটের ‘কারবার’, অত্যাধুনিক মেশিন-সরঞ্জাম নিয়ে বসে হ্যাকাররা! চোপড়ার গ্রামে গ্রামে প্ৰতারণার পাঠশালা। ঘরের পাশেই বসে প্রতারকরা। ডেরা উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া। কুটির শিল্পের মতো চলছে, লুটের কারবার। বিহার ও বাংলাদেশের মাঝে চোপড়ায় এই অবস্থা।

আঙুলের ছাপ ও আধার কার্ড নম্বর ব্যবহার করেই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা‌ গায়েব। প্রতারণা চক্রের হদিস শুরু হয়। গ্রামে বসে শহুরে লোকেদের টাকা গায়েব করা হচ্ছে। চক্রে জড়িয়ে পড়ছে নাবালক থেকে গ্রামবাসীরাও।
২১ সেপ্টেম্বর চোপড়ার নারায়ণপুরে অভিযান চালায় সাইবার ক্রাইম থানা। জালে তোলা হয় তিনজনকে, তার মধ্যে একজন নাবালক। উদ্ধার হয় কম্পিউটার, অসংখ্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। এরপর ২৩ শে সেপ্টেম্বর অভিযান চালালে‌ চম্পট দেয় জালিয়াতিরা। অসংখ্য আঁধার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট-এগুলো ডেভেলপ করে টাকা হাতানো হচ্ছে।

   

জালিয়াতির কারবার ফুলেফেঁপে ওঠে। জালিয়াতির হাব হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুর। এ বিষয়েই এবার রাজ্যবাসীকে সাবধান করতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ। সহজ কথায়, এবার আধার সংক্রান্ত প্রতারণা রুখতে উদ্যোগী কলকাতা পুলিশ। ফলাও করে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। আধার এনেবলড পেমেন্ট সিস্টেম বা AEPS নিয়ে বিশেষভাবে করা হয়েছে সতর্ক। আধার প্রমাণীকরণের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য ওয়েবসাইট বা এম আধার অ্যাপের মাধ্যমে লক করে রাখার আবেদন জানাচ্ছে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল। কিন্তু, বর্তমানে সিংহভাগ মানুষেরই এই আধার লকের বিষয়ে সম্যক জ্ঞান নেই। কীভাবেই বা তা করতে হয় সে বিষয়েও সঠিকভাবে জানা থাকে না। এখানেই হয়ে যাচ্ছে বিপদ।

এর জন্য প্রথমে যেতে হবে এম আধার অ্যাপে। তারপর সেখানে ওটিপি দিয়ে প্রবেশ করুন। এরপর মাই আধার অপশনে গিয়ে বায়োমেট্রিক ডিটেলস ব্লক করুন। এভাবেই আগে সুরক্ষিত করুন আপনার আধার। আর একবার ব্লক করলে যে আর আনব্লক করা যাবে না এমনটা নয়। চাইলে প্রয়োজনে আবার আনব্লকও করতে পারেন। কলকাতা পুলিশ স্পষ্ট বলছে, যখন বায়োমেট্রিক ডিটেলসের প্রয়োজন হবে, তখন কিছুক্ষণের জন্য সেটি আনলক করা যেতে পারে। এরপর পুনরায় বায়োমেট্রিক তথ্য লকের আগে কাজ করে নিতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ।