অবশেষে এসেছে সাফল্য, এবার লাল-হলুদ নিয়ে বিশেষ ভাবনা ইমামির

গত কয়েক মরশুম খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। শুধুমাত্র হতাশাই মিলেছিল সমর্থকদের। তবে এবারের এই নতুন মরশুমে, স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত হটসিটে বসার…

east bengal

গত কয়েক মরশুম খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। শুধুমাত্র হতাশাই মিলেছিল সমর্থকদের। তবে এবারের এই নতুন মরশুমে, স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত হটসিটে বসার পর থেকেই বদলে গিয়েছে সমস্ত কিছু। তার পছন্দ মত খেলোয়াড়ই এনে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত।

সেই মতো খেলোয়াড় আনার চেষ্টাও করেছে ইমামী ম্যানেজমেন্ট। এই নতুন টিম নিয়ে মরশুম শুরু থেকেই একেবারে অনবদ্য ছন্দে চলে আসে লাল হলুদ ব্রিগেড। যার দরুন ডুরান্ড কাপ ফাইনাল খেলে ইস্টবেঙ্গল। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যথেষ্ট খুশি করেছিল সকলকে। তারপর ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও বেগ পেতে কিছুটা সময় লেগেছিল এই দলের।

তবে নতুন বছরে সুপার কাপে শুরু থেকেই অনবদ্য ছন্দে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলকে। হায়দরাবাদ এফসি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে শ্রীনিধি ডেকান এবং মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের মত দলকে অতি সহজেই পরাজিত করে দেয় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। সেখান থেকে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল। খালিদ জামিলের জামশেদপুর কে পরাজিত করে শেষ ম্যাচে চলে যায় ময়দানের এই প্রধান।

তারপর গত রবিবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সৃষ্টি হয় এক নতুন ইতিহাস। ১২ বছর পর জাতীয় স্তরের ট্রফি জয় করে ইস্টবেঙ্গল। সেই নিয়েই এখন আনন্দে মাতোয়ারা সমর্থকরা। আজ দুপুরে শহরে পা রেখেছে গোটা দল। তারপর সমর্থকদের উচ্ছ্বাসকে সঙ্গে নিয়েই দল চলে আসে ক্লাব তাঁবুতে। এসবের মাঝেই এবার বিশেষ বিবৃতি জারি করল ইমামি।

যেখানে প্রথমে দলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য প্রত্যেক সমর্থককে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানানো হয় তাদের তরফ থেকে। সেই সাথে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। যার অন্যতম উদাহরণ দলের এই খেতাব জয়। তবে এখানেই থেমে নেই সমস্ত কিছু। আগামী দিনে দলের আরো বৃহত্তর সাফল্যের জন্য সকল সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা ও দেওয়া হয় দলের এই লগ্নিকারী সংস্থার তরফ থেকে। আগামী কয়েক দিন পরেই আইএসএলের ডার্বি ম্যাচ। এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।